কানাডায় নিরাপত্তারক্ষী পেলেন সৌদি তরুণী রাহাফ

কানাডায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তারক্ষী পেলেন ঘরপালানো সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মদ। শরণার্থী হিসেবে তাকে কানাডায় আশ্রয় পেতে সহায়তা করা অভিবাসী প্রতিষ্ঠান কস্টির পক্ষ থেকে তার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

Rahaf Mohammed 02ইতোমধ্যেই অনলাইনে রাহাফ’কে হুমকি দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন কস্টির নির্বাহী পরিচালক মারিও কালা। তিনি সাংবাদিকদের জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি রাহাফের নিরাপত্তাঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। ফলে তার জন্য একজন নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে। ফলে কানাডায় রাহাফ এখন আর একা নন।

এদিকে মঙ্গলবার টরন্টোতে এক সংবাদ সম্মেলনে নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেন ইসলাম ত্যাগ করা এই সৌদি তরুণী। তিনি জানান, নিজের নাম থেকে পারিবারিক নাম আল-কুনুন বাদ দিয়েছেন তিনি। এর ফলে এখন থেকে তার নাম রাহাফ মোহাম্মদ।

রাহাফ মোহাম্মদ বলেন, নিজেকে আমি অনেক ভাগ্যবতী মনে করি। কেননা, সৌদি থেকে পালাতে গিয়ে অনেক মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে। বাধ্য হয়ে বাস্তবতা মেনে নিচ্ছে অনেকে।

পরিবারের সঙ্গে কুয়েতে বেড়াতে গিয়ে সেখান থেকে পালিয়েছিলেন রাহাফ। থাইল্যান্ড হয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে ব্যাংককের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন তিনি। অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় প্রার্থী রাহাফকে আটক করে হোটেলের একটি রুমে বন্দি রাখা হয়। জোর করে তাকে কুয়েতগামী বিমানে তুলে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু তিনি নিজেকে হোটেল রুম থেকে বের করে নিতে দেননি। পরিবারের কাছে ফেরত যেতে চাননি। তাকে সৌদি আরব নিতে থাইল্যান্ড পৌঁছানো বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। থাই সরকার বাধ্য হয় তার সঙ্গে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রতিনিধিদের সাক্ষাতের সুযোগ দিতে। নানা নাটকীয়তার এক পর্যায়ে তাকে নিজ দেশে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।