চীনা বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার কানাডীয় নারী

চীন ও কানাডায় চলমান উত্তেজনার মধ্যেই বেইজিং বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন এক কানাডীয় নারী। কানাডীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানবন্দরে ওই নারীকে আটকে রেখে হয়রানি করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

2016-12-20T072047Z_943516336_RC1D6DEDDD30_RTRMADP_3_CHINA-POLLUTION-seoগত সোমবার কানাডীয় রবার্ট লয়েড শেলেনবার্গকে ২০১৮ সালে প্রথমে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। আপিল আদালত ওই সাজাকে ‘অপরাধের তুলনায় কম শাস্তি’ বর্ণনা করে সোমবার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। কয়েক সপ্তাহ আগে চীনের টেলিকম জায়ান্টা ‘হুয়াওয়ে’র সিএফও মেংকে গ্রেফতার করলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির সূত্রপাত হয়। রবার্টের বিরুদ্ধে রায় উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরো অবনতির দিকে ঠেলে দেয়।

সম্প্রতি তি অ্যানা ওয়াং নামের এক নারীকে বিমান থেকে টেনে বের করে আনে ছয় পুলিশ। আলাদা করে ফেলা হয় তার স্বামীর কাছ থেকে। মেয়েসহ দুই ঘণ্টা ধরে আটকে রাখা হয় তাকে। সিউল থেকে টরোন্টো যাচ্ছিলেন তারা। বেইজিংয়ে ছিলো ট্রানজিট।

ওয়াং বলেন, ‘আমি খুবই বিস্মিত ও আতঙ্কিত। কোনও কারণ ছাড়া শুধুমাত্র হয়রানি করার উদ্দেশ্যে আমাকে আটক করা হয়েছিলো।

তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের কোনও সম্পর্ক নেই।

গ্লোব অ্যান্ড মেইল জানায়, সেসময় ওয়াংকে তার কম্পিউটার ও মোবাইলও ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। চীনা কর্মকর্তারা বলেন, কানাডায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি ছিলো না ওয়াংয়ের।

২০০২ সালে  ওয়াংয়ের বাবা সরকারপন্থী অধিকার কর্মী ওয়ার বিংজাংয়েকে ভিয়েতনাম থেকে গ্রেফতার করেছিলো চীনা গোয়েন্দারা। গত সপ্তাহে ভিসা থাকার পরও ওয়াংকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি ওয়াংকে।