জ্বালানির দাম ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি, বিক্ষোভে উত্তাল জিম্বাবুয়ে

জ্বালানির দাম ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধির সরকারি ঘোষণার প্রতিবাদে জিম্বাবুয়ের রাস্তায় নেমেছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। প্রতিবাদকারীদের ওপর অব্যাহত পুলিশি ধরপাকড়ের মধ্যেই বুধবার দেশটিতে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেই বিভিন্ন স্থানে রাস্তাগুলিতে পাথর, গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করছেন মানুষ। তিন দিনে অন্তত ২০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনে বিক্ষোভ দমনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

nonameজিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়া গত শনিবার জ্বালানির দাম ১৫০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেন। সে অনুযায়ী পেট্রোলের দাম লিটার পিছু ১ দশমিক ‌৩৪ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৩ দশমিক ‌৩১ ডলার নির্ধারণ করা হয়। বাড়ানো হয় ডিজেলের দামও।

এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার থেকে রাজপথে নামতে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। বিরোধী দল মুভমেন্ট ফর ডেমোক্র্যাটিক চেঞ্জেস (এমডিসি) বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকলেও এতে যোগ দিয়েছেন বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে গাড়ি চালকরা। বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হওয়া সরকারি বাহিনীর হামলায় অন্তত পাঁচ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার রাতে রাজধানী হারারেতে বিরোধী দল এমডিসি’র প্রধান কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলকেই দায়ী করছে বিক্ষোভকারীরা। টায়ার জ্বালিয়ে, পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে নিজেদের ক্ষোভের জানান দিচ্ছে তারা। দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের মতো ঘটনাও ঘটছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দৃশ্যত প্রভাবশালী বিদেশি রাষ্ট্রের শরণাপন্ন হওয়ার পথ বেছে নিয়ে ক্ষমতাসীন দল। দেশজুড়ে অব্যাহত বিক্ষোভ, প্রতিবাদের মধ্যেই রাশিয়া সফরে গেছেন প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়া। বিদ্যমান পরিস্থিতির জন্য সুশীল সমাজ ও বিরোধীদের দায়ী করছে সরকার।

ধরপাকড়ের অংশ হিসেবে বিক্ষোভকারীদের নেতা ইভান মাওয়ারি’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের আগে তিনি জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে তিন দিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। এখনও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ আনা হয়নি। তবে সরকারের দাবি, তিনি সহযোগীদের নিয়ে সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।