নেদারল্যান্ডস-এর সাংবাদিককে ফেরত পাঠিয়েছে তুরস্ক

সন্ত্রাসবাদে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে নেদারল্যান্ডস এর সাংবাদিক অ্যানস বোয়েরসমাকে গ্রেফতার করে ফেরত পাঠিয়েছে তুরস্ক। নেদারল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ওই সাংবাদিককে চলমান তদন্তে সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করার পর এই ব্যবস্থা নেয় তুরস্ক। তুরস্কের সূত্রকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সাংবাদিক হিসেবে কোনও কাজের জন্য ৩১ বছর বয়সী বোয়েরসমাকে ফেরত পাঠানো হয়নি।  তুরস্কের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আল নুসরা ফ্রন্ট নামে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বোয়েরসমাকে সন্দেহ করা হচ্ছে।নেদারল্যান্ডের সাংবাদিক অ্যানস বোয়েরসমা
নেদারল্যান্ডস-এর বাণিজ্য ও আর্থিক বিষয় সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র ‘হেদ ফিনানসিয়েলে দাগব্লাদ’ এর হয়ে ২০১৭ সাল থেকে তুরস্কে কাজ করছেন বোয়েরসমা।  সম্প্রতি  ২০১৯ সালের জন্য নিজের পরিচয়পত্রও পান তিনি। বুধবার তুরস্কের অভিবাসন সেবা কেন্দ্রে হাজির হলে তাকে আটক করে নেদারল্যান্ডে ফেরত পাঠানোর কথা জানানো হয়। বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় তিনি জানান তাকে নেদারল্যান্ডগামী বিমানে তোলা হয়েছে। নেদারল্যান্ডের বিচার বিভাগের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দেশে পৌঁছানোর পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি।

সিরিয়ার সশস্ত্র গ্রুপ আল নুসরা ফ্রন্ট বর্তমানে হায়েত তাহরির আল-শাম নামে পরিচিতি পেয়েছে। গ্রুপটির সঙ্গে নেদারল্যান্ডের এই সাংবাদিকের সংশ্লিষ্টতার বিস্তারিত অভিযোগের বিষয়ে তুরস্ক বা নেদারল্যান্ডের কেউই বিস্তারিত জানায়নি।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রজব তাইেয়্যেব এরদোয়ানের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ নেদারল্যান্ড পুলিশের গোয়েন্দা নথি পেয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বোয়েরসমার সঙ্গে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিত একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে তাদের ধারণা। এছাড়া নেদারল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ তুরস্ক ও তুরস্কের বাইরে তার গতিবিধি জানতে চেয়েছে।

‘হেদ ফিনানসিয়েলে দাগব্লাদ’ এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বোয়েরসমার ধারণা সিরিয়ার এক পুরুষের সঙ্গে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সম্পর্ক রাখায় তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে আল-নুসরা ফ্রন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।  গত বছর ওই ব্যক্তিকে আটক করে নেদারল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। ‘হেদ ফিনানসিয়েলে দাগব্লাদ’ বলেছে, বোয়েরসমাকে ফেরত পাঠানোর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে তারা।