হিন্দিকে আদালতের তৃতীয় দাফতরিক ভাষার স্বীকৃতি দিলো আবুধাবি

আদালতের তৃতীয় দাফতরিক ভাষা হিসেবে হিন্দিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি। এখন থেকে সেখানকার আদালতগুলো আরবি ও ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি হিন্দিও ব্যবহার করবে। এতে ভারতীয়রা নিজেদের অভিযোগ ও জবানবন্দি হিন্দিতে পেশ করতে পারবেন। ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই’র প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।  

আবু ধাবির আইন মন্ত্রণালয়
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারি তথ্যকে উদ্ধৃত করে আল জাজিরা জানিয়েছে, দেশটির মোট জনসংখ্যা ৫০ লাখের কাছাকাছি। এরমধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই অন্য দেশ থেকে আসা অভিবাসী। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারতীয় প্রবাসীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে ২৬ লাখ ভারতীয়র বসবাস, যা মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। এতদিন আবুধাবির আদালতে সরকারি ভাষা ছিল ইংরেজি ও আরবি। এবার তার সঙ্গে যোগ হলো হিন্দি।

আবুধাবির আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হিন্দিকে আদালতের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ফলে হিন্দিভাষী মানুষজন এখন থেকে আইনি বিষয়গুলো আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। হিন্দিতে নিজেদের দাবি-দাওয়া লিখিতভাবে জানাতে পারবেন তারা। বয়ানও দিতে পারবেন হিন্দিতে। জমা দেওয়া যাবে পিটিশনও। আদালতে ব্যবহৃত নানা ধরনের আবেদনপত্রও এখন থেকে আরবি ও ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দিতেও ছাপানো হবে।

আইন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ইউসুফ সাইদ আল আবরি জানিয়েছেন, বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আল আবরি মনে করেন, এতদিন হিন্দিভাষী মানুষজন কোনও অভিযোগ জানাতে গেলে ভাষার কারণে সমস্যায় পড়তেন। কারণ, বিচার ব্যবস্থায় কাজের ভাষা ছিল আরবি ও ইংরেজি। এবার তাতে হিন্দি যুক্ত হওয়ায় ভারতীয়রা উপকৃত হবেন।
উপ-প্রধানমন্ত্রী জায়েদ আল নাহিয়ান আবুধাবির আইন মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যান। আল আবরি জানান, জায়েদ আল নাহিয়ানের নির্দেশেই হিন্দি ভাষাকে দাফতরিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্বিভাষিক মামলা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে হিন্দি ভাষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে, ২০১৮ সালের নভেম্বরে দ্বিভাষিক মামলা ব্যবস্থার আওতায় প্রথম দফায় ইংরেজিকে আদালতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এতে বাদীপক্ষ যদি বিদেশি হন তখন তাকে মামলার নথি ইংরেজিতে অনুবাদ করে দেওয়া হয়। আদালতের ভাষা হিসেবে হিন্দিকে অন্তর্ভুক্ত করায় এখন থেকে ভারতীয়রা মামলার নথি হিন্দিতে ভাষান্তরিত অবস্থায় হাতে পাবেন।