দল ছাড়ছেন ৪ লেবার এমপি

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির অন্তত চারজন পার্লামেন্ট সদস্য পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। দলের সিনিয়র একাধিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমন দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এক প্রতিবেদনে তারা জানায়, ব্রেক্সিট ও ইহুদীবিদ্বেষ বিষয়ক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে লেবার নেতৃত্বের সঙ্গে একমত নন অন্তত চারজন লেবার এমপি। স্থানীয় সময় সোমবার সকালেই তাদের দলত্যাগের বিষয়টি ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে।

_105685541_03c84b49-d11e-4009-aa8d-6f7dae54cad0লেবার নেতা জেরেমি করবিনের সমালোচক স্টিফেন কিনোক তাদের দলে থেকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া উপপ্রধান টম ওয়াটসনও তাদের দলত্যাগের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সবাই যেন ঐক্যবদ্ধ থাকে। এতে করে দলটি নির্বাচনীভাবে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে।

ব্রেক্সিট নিয়ে আরেকটি গণভোটের সিদ্ধান্ত ও ইহুদীবিদ্বেষের অভিযোগ সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব ব্যর্থতার অভিযোগ এনে ক্ষুব্ধ লেবার পার্টির এক পক্ষ। জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে দলের ভবিষ্যত নিয়ে দ্বিধান্বিত মডারেট এমপিরা।

গত সপ্তাহে শ্যাডো চ্যান্সেলর ক্রিস লেসিলি বলেন, ইইউ ত্যাগ নিয়ে লেবার পার্টির ঐক্যবদ্ধ অবস্থান না থাকাটা দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি লেবার পার্টির নেতারা আমাদের বোকা বানাচ্ছেন।’

করবিনের কট্টর সমালোচক লিভারপুলের এমপি লুসিয়ানা বার্জারের প্রতি আচরণের কারণে দলের নেতৃত্বস্থানীয় সদস্যদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। তার প্রতি অনাস্থা ভোটেরও হুমকি দেওয়া হয়।

রবিবার শ্যাডো চ্যান্সেলর জন ম্যাকডোনেল বলেন, তিনি দলের মধ্যে বিভক্তির কোনও প্রয়োজন দেখছেন না। তিনি বলেন, যারা বলছেন যে ব্রেক্সিটে আবার গণভোট না হলে আলাদা হয়ে যাবেন, আমরা বলছি যে বিষয়টি বিবেচনাধীন, বাস্তবায়ন হতেও পারে।  তার দাবি, ব্রেক্সিট ইস্যুতে তারা এক রয়েছেন। আর ইহুদীবিদ্বেষের অভিযোগ এনে যেই প্লেগ দলে ছড়ানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিবেন তারা।

জন ম্যাকডোনেল বলেন, এই মুহূর্তে এমপিদের বেরিয়ে যাওয়ায় ১৯৮১ সালের এসডিপি ভেঙে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সেসময় লেবারের ভোট বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় অনেক বছর ধরে ক্ষমতায় ছিলেন মার্গারেট থ্যাচার।