৮৫০ ভারতীয় বন্দিকে মুক্তি দেবে সৌদি আরব

সৌদি আরবের বিভিন্ন কারাগারে আটক ৮৫০ জন ভারতীয় বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে রিয়াদ। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দিল্লিতে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব বন্দিদের মুক্তি দিতে যুবরাজের প্রতি অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার অনুরোধে সাড়া দিয়ে ৮৫০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হন তিনি। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

12ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ভারতের বাইরে দুনিয়ার অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভারতীয় নাগরিক বন্দি রয়েছেন সৌদি আরবের কারাগারগুলোতে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটির কারাগারে বন্দি ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা দুই হাজার ২২৪ জন। তাদের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ, ঘুষ, মাদক ও অ্যালকোহল সংক্রান্ত নানা অভিযোগ রয়েছে।

সৌদি আরবে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারতের। দেশটি আনুমানিক ২৭ লাখ ভারতীয় নাগরিকের বসবাস। এদের বেশিরভাগই নির্মাণ খাত বা গৃহস্থালী কাজের মতো ছোটখাটো কাজ করে থাকেন দেশটিতে।

এদিকে সৌদি আরব ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক দুই দেশের ডিএনএ-তে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর উষ্ণ আলিঙ্গনে সিক্ত হয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ভারতের সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস খবর দিয়েছে, পাকিস্তান সফর শেষ করে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। সরাসরি তিনি ভারতে যাননি। ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কাশ্মির ইস্যু এবং সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে উপলব্ধি জোরালো করতে তিনি দেশে ফিরেছিলেন। পরে সেখান থেকে তিনি দিল্লিতে আসেন। তবে তার দেশে ফিরে যাওয়া সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে কিছু জানানো হয়নি।

দিল্লির বিমানবন্দরে নামার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সব প্রটোকল ভেঙে সৌদি রাজপুত্রকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আজকে আমরা নিশ্চিত হতে চাই উভয় দেশের মঙ্গলের স্বার্থে আমাদের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্কের অগ্রগতি হয়েছে। যুবরাজ বলেন, সৌদি আরব ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক ‘আমাদের ডিএনএ-তে। পরে টুইটে মোদি লেখেন, ‘এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।’

বুধবার সকালে মোহাম্মদ বিন সালমানকে রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ দিনই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন সৌদি যুবরাজ।