কলম্বিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা ভেনেজুয়েলার

কলম্বিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। ইতোমধ্যে কলম্বিয়ান দূতাবাস থেকে কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করেছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

c213d87c-fded-4c12-9948-ac5e22d94a98

রাজনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে ত্রাণ নিয়ে ভেনেজুয়েলায় দেখা দিয়েছে বিরোধপূর্ণ অবস্থান। হোয়ান গোয়াইদো জানিয়েছেন, তিনি ভেনেজুয়েলানদের জন্য পাঠানো আন্তর্জাতিক ত্রাণ বিতরণ করতে চান। অন্যদিকে, ভেনেজুয়েলার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো বলেছেন, ভেনেজুয়েলা ভিক্ষুক নয়, যে মার্কিন ত্রাণ গ্রহণ করবে। অথচ খাদ্য-ওষুধের প্রবল সংকটে থাকা ভেনেজুয়েলাবাসী আশ্রয় নিচ্ছে প্রতিবেশী কলম্বিয়া, ব্রাজিলের মতো দেশে। যুক্তরাষ্ট্রসহ তার পশ্চিমা মিত্ররা মনে করে, আন্তর্জাতিক ত্রাণ গোয়াইদোর মাধ্যমে ভেনেজুয়েলায় বিতরণ করা সম্ভব হলে তা মাদুরোর ভাবমূর্তিকে দেশবাসীর সামনে ম্লান করে দিতে সক্ষম হবে।

নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, ‘আমার ধৈর্য্যর বাঁধ ভেঙে গেছে। আর সহ্য করতে পারছি না। ভেনেজুয়েলাকে আক্রমণ করার জন্য আমরা কলম্বিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারি না। সজন্য আমি তাদের সঙ্গে সবধরনের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মাদুরো বলেন, কূটনীতিকদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে।

স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদোর অনুরোধে এসব ত্রাণ পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তবে কলম্বিয়া সীমান্তের একটি ব্রিজ অবরোধ করে তা আটকে দেয় ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর অনুগত সেনারা। ত্রাণ প্রত্যাখান করে যুক্তরাষ্ট্রকে বরং তেলের ওপর আরোপ করা অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন মাদুরো।

 

জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিগত বছরগুলোতে মানবিক সংকট থেকে বাঁচতে ৩০ লাখেরও বেশি ভেনেজুয়েলান দেশত্যাগ করেছে। দেশটির অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা মাদুরোকে দায়ী করা হয়। গত জানুয়ারির নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন বামপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। কিন্তু বিরোধী দলসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ওই নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দেয়। নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগের সঙ্গে অর্থনৈতিক সংকট জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। আর ব্যাপক এই বিক্ষোভের জেরেই গত ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুইদো। পোপের দেশ আর্জেন্টিনা এরইমধ্যে বিরোধী নেতা গুইদোকে সমর্থন দিয়েছে।