সম্পর্কই নাই, কী ছিন্ন করবেন: মাদুরোকে কলম্বিয়া

 
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর দেওয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে কলম্বিয়া। তাদের দাবি, মাদুরো সরকারের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কই নেই। শনিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভেশনে দেওয়া ঘোষণায় কলম্বিয়ার কূটনীতিকদের একদিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে বলেছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট। তবে কলম্বিয়ান ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্তা লুসিয়া রামিরেজ দাবি করেছেন, মাদুরো সরকারের সঙ্গে তাদের কোনও কূটনৈতিক লেনদেনই নেই। উল্লেখ্য, মাদুরোর স্থলে বিরোধী নেতা জোয়ান গোয়াইদোকে অন্তবর্তী প্রেসিডেন্টের স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর অন্যতম কলম্বিয়া।
কলম্বিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট
 
নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকট ভেনেজুয়েলার জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। বিক্ষোভের সুযোগে ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা জুয়ান গুয়াইদো। সে সময়ই তিনি ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলাবাসীর সহায়তায় তিনি আন্তর্জাতিক ‘ত্রাণ সহযোগীদের’ নেটওয়ার্ক বানাবেন। 'গুয়াইদোর অনুরোধে'ভেনেজুয়েলাবাসীর জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন।  তবে সরকার সেই ত্রাণ ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ব্রাজিল ও কলম্বিয়া সীমান্তে সেই ত্রাণ আটকে আছে। আটকে থাকা মার্কিন ত্রাণ ভেনেজুয়েলায় প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার প্রচেষ্টাকে কারণ দেখিয়ে শনিবার কলম্বিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয় ভেনেজুয়েলা।
 
মাদুরোর ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় কলম্বিয়ান ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্তা লুসিয়া রামিরেজ দাবি করেছেন, ‘মাদুরো কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারেন না কারণ কলম্বিয়ার আসলে তার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, আমাদের সরকার সেখানে কোনও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়নি এবং আমরা মাদুরোর রাষ্ট্রদূতকেও স্বীকৃতি দেই না।’ তিনি বলেন, যু্ক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোর মতোই গুইদোকেই তারা বৈধ প্রেসিডেন্ট বিবেচনা করেন। রামিরেজ বলেন, ‘তিনি একজন স্বৈরশাসক। ভয়ভীতি দিয়ে দেশ চালান।  


ভেনেজুয়েলায় প্রবেশের অপেক্ষায় খাবার ও চিকিৎসা সহায়তায় ত্রাণবাহী ট্রাকের বহর এখন কলম্বিয়া ও ব্রাজিল সীমান্তে অবস্থান করছে। এই ট্রাকগুলোর কাছে দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা ও স্বেচ্ছাসেবকরা অবস্থান করছে। তবে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে ত্রাণেকন্দ্রিক সংঘাত শনিবার থেকে জোরালো হয়েছে।  এখন পর্যন্ত কোনও ট্রাকই ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারেনি।