পছন্দের খবর চাপিয়ে দিতেই কাশ্মিরে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ: আরএসএফ

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে দুই সংবাদপত্রের সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়ার নিন্দা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় কাজ করা সংগঠন রিপোটার্স উইদাউট বর্ডারস (রিপোর্টার্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স-আরএসএফ)।পুনওয়ামা হামলার পর রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই ইংরেজি সংবাদপত্র গ্রেটার কাশ্মির এবং কাশ্মির রিডারের সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্যারিসভিত্তিক অলাভজনকসংস্থা আরএসএফ-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে ‘অবৈধ’ ও ‘নগ্ন হুমকি’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।  ৫ মার্চ মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পছন্দের খবর চাপিয়ে দিতেই ওই দুই সংবাদমাধ্যমের ওপর চড়াও হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

noname 

১৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)জম্মু থেকে কাশ্মির যাওয়ার পথে জঙ্গি হামলার কবলে পড়ে ভারতীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর প্রায় ২৫০০ সদস্যকে বহনকারী ৭০টি গাড়ির বহর। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মোহাম্মদ প্রায় সাড়ে তিনশ’ কেজি বিস্ফোরক-ভর্তি গাড়ি নিয়ে বহনকারী একটি বাসের ওপর আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ৪০ জনেরও বেশি জওয়ানকে হত্যা করে। হামলার দুইদিন পর রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের মৌখিক নির্দেশে আচমকাই রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই ইংরেজি সংবাদপত্র গ্রেটার কাশ্মির এবং কাশ্মির রিডারের সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া হয়।


রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স তাদের বিবৃতিতে দাবি করেছে, কাশ্মিরে শীর্ষস্থানীয় দুই ইংরেজি দৈনিকের রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিয়ে তাদের আর্থিকভাবে হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে। তাদের  নিষেধাজ্ঞা তুলে সরকারকে সব পত্রিকার প্রতি সমান আচরণ করার আহ্বান জানায় সংগঠনটি। বিবৃতিতে বলা হয়, ওই দুই পত্রিকা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে লাইফ সাপোর্টে আছে। বিজ্ঞাপন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। কাশ্মিরের বেসরকারি খাত দুর্বল হওয়ায় সরকারি বিজ্ঞাপনের ওপরেই ভরসা করতে হয় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে। 

সংগঠনটির এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান ড্যানিয়েল বাস্টার্ড এই নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়ে বলেন, দুটি সংবাদপত্রকে এমন অবৈধভাবে  টার্গেট করা নিঃসন্দেহে এক নগ্ন  হুমকি। নিজেদের খবর চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সংবাদপত্রের ওপর এমন চড়াও হওয়া বা হয়রানি করার কোনও অধিকার  কর্তৃপক্ষের নেই। কাশ্মির উপত্যকায় সৃষ্ট উত্তেজনায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনভাবে সঠিক খবর প্রকাশ করা অপরিহার্য, বিশেষ করে পরিস্থিতির অবনতিতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খুবই জরুরি।