নিউ জিল্যান্ডে প্রবেশে বাধার মুখে অস্ট্রেলীয় মাওলানা শেখ সাদী

অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম শীর্ষ মাওলানা শেখ সাদী আলসুলেমানকে প্রবেশে বাধা দিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। তবে অস্ট্রেলিয়া সরকারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে পরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

P4_sheikh-880x640

২০১৯ সালের ১৫ মার্চ পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, নিউ জিল্যান্ডের দুই মসজিদে গুলি চালিয়ে ৫০ মুসল্লিকে হত্যা করে উগ্র মুসলিমবিদ্বেষী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট। এর আগে অনলাইনে ১৬ হাজার ৫০০ শব্দের একটি ইশতেহারে নৃশংস এ হামলার পেছনে নিজের বক্তব্য তুলে ধরে হামলাকারী। এতে নিউ জিল্যান্ডের ইতিহাসের এই নৃশংস খুনি দাবি করে, শ্বেতাঙ্গরা গণহত্যার শিকার এবং সে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে চায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘শ্বেতাঙ্গ পরিচয়ের নতুন প্রতীক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে মুসলমানদের জন্য একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরিরও আহ্বান জানায় হামলাকারী।

অস্ট্রেলীয় জাতীয় ইমাম পরিষদের প্রেসিডন্ট শেখ সাদি ইসলামি বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে থাকে। অনেকদিন ধরেই জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের হিটলিস্টে রয়েছেন তিনি। এমন একজন মাওলানাকে নিউজিল্যান্ডে কেন প্রবেশে বাধা দেওয়া হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সিডরি মর্নিং হেরাল্ডকে দেওয়া সাক্ষাতকারে শেখ সাদী বলেন, আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম। বিশেষ করে এমন কঠিন সময়ে। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশেষ ভিসার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

গত বছর এপ্রিলে শেখ সাদীসহ বেশ কয়েকজন ইসলামি চিন্তাবিদকে নিষিদ্ধ করেছিলো ডেনমার্কও। দেশটিতে জনসমক্ষেবোরকা পরিধানও নিষিদ্ধ। 

নিউ জিল্যান্ড অভিবাসন কর্তৃপক্ষ জানায়, ডেনমার্কের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার জন্যেই শেখ সাদীকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিলো। জাতীয় সীমান্ত ব্যবস্থাপক স্টেফানি গ্রেটহেড বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে আল সুলেমানকে নিউজিল্যান্ডে না আসার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো। মূলত ডেনমার্কের নিষেধাজ্ঞার কারণেই আমরা এই অবস্থান নেই।