লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন না মায়াবতী

ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দিয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) নেতা মায়াবতী৷ জানান, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে নিজ দল বিএসপি ও জোটভুক্ত দল এসপি’র (সমাজবাদী পার্টি) প্রার্থীদের হয়ে প্রচারণা চালাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সিএনএন-নিউজ এইটিনের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

মায়াবতী
আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ভারতে লোকসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে। ১৯ মে পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উত্তরপ্রদেশে বৈরি দল এসপি’র সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়ছে বিএসপি৷ এবারের লোকসভা নির্বাচনে কোনও দল যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তবে এসপি ও বিএসপি’র মতো আঞ্চলিক দলগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বিজেপির বিরুদ্ধে তারা সবচেয়ে বড় জাতয়ি জোট। তবে হঠাৎ করে বুধবার (২০ মার্চ) নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন বিএসপি নেতা মায়াবতী।

বুধবার লক্ষ্ণৌতে এক সংবাদ সম্মেলনে মায়াবতী বলেন, 'আমি জানি, আমি যে কোনও আসনেই জিততে পারি৷ আমাকে শুধু মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে৷ বাকিটা আমার দলের কর্মীরাই বুঝে নেবেন৷ বিজেপি-কে হারাতে আরএলডি ও এসপির সঙ্গে শক্তিশালী জোট গড়েছি আমরা৷ আমাদের কাছে এই মুহূর্তে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল, বেশি করে আসন জেতা৷ আমার একটি আসনে জেতা নিয়ে কিছু এসে যায় না৷ আমি আন্দোলনের স্বার্থে এর আগে রাজ্যসভায় পদত্যাগ করেছি৷'

টুইটারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি-কে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন মায়াবতী৷ মঙ্গলবার মোদির 'ম্যায় ভি চৌকিদার হুঁ' ক্যাম্পেনকে চরম কটাক্ষ করেন তিনি৷ মায়াবতী বলেন, '২০১৪ সালে ছিলেন চায়েওয়ালা৷ ২০১৯ সালে হয়ে গেলেন চৌকিদার!'

উত্তরপ্রদেশে চারবার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মায়াবতী। ২০১২ সালে এসপি’র কাছে ক্ষমতা হারান। ২০১২ সালে রাজ্যসভার সদস্য হন মায়াবতী। তবে উত্তরপ্রদেশের শরনপুর জেলায় দলিতদের ওপর সহিংসতাকে কেন্দ্র করে পদত্যাগ করেন তিনি।