অবশেষে ব্রেক্সিট পেছানোর প্রস্তাব থেরেসা মে’র

অবশেষে ব্রেক্সিট পেছানোর আহ্বান জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) চিঠি পাঠালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। বুধবার ইইউ-এর সদর দফতর ব্রাসেলসে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠান তিনি। এরআগে ১‌৪ মার্চ ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ব্রেক্সিট বিলম্বিত করার পক্ষে অবস্থান নেয়।noname

চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২৯ মার্চ থেকে ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্রেক্সিট কার্যকরে বিলম্ব নিয়ে গত ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হয়। ভোটাভুটিতে এখনই ইইউ  না ছাড়ার পক্ষে অবস্থান নেন ৪১৩ জন এমপি। বিপক্ষে ভোট দেন ২০২ জন। এর ফলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ২৯ মার্চ ইইউ থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়ার বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়।

বুধবার ব্রাসেলসে ইইউ দফতরে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়ে আর্টিকেল ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বুধবার থেরেসা মে বলেছেন, ' প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি ৩০ জুনের পর আর ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে চাই না।' ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেন,  ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে দীর্ঘ বিলম্বের ফল হিসেবে ব্রিটেনকে আসন্ন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবে অংশগ্রহণ করতে হতে পারে।

এদিকে ব্রেক্সিট পিছিয়ে দিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো চিঠির ব্যাপারে ইউরোপিয়ান কমিশন প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আগে  ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে ব্রিটেনের ব্রেক্সিট পেছাবার কারন আর ফলাফল সম্পর্কে জানতে হবে, তারপর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের পর আঞ্চলিক জোটটির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে গত নভেম্বরে ইইউ-এর সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছান থেরেসা মে। সে চুক্তি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনুমোদন করানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও গত জানুয়ারির ভোটাভুটিতে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে এমপিরা থেরেসা মে’কে ইইউ’র সঙ্গে নতুন করে আলোচনার সুযোগ দেন। সোমবার (১১ মার্চ) ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর থেরেসা দাবি করেন, পরিকল্পনায় ‘আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক’ পরিবর্তন আনতে সমর্থ হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার হাউস অব কমন্সে থেরেসার সে সংশোধিত পরিকল্পনাটি নিয়ে আবারও ভোটাভুটি হলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। এ অবস্থায় চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট পরিস্থিতি ঠেকাতে বুধবার আরও একটি ভোটাভুটি করে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। রায় আসে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে। এরপরই সামনে আসে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে বিলম্বের প্রশ্ন।