এদিন আল নুর মসজিদের সামনে হেগলি পার্কে হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে যোগ দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। সে সময় তার মাথা স্কার্ফ দিয়ে ঢাকা ছিলো। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে পুরো নিউ জিল্যান্ডই ব্যথিত। আমরা সবাই এক।’ তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, বিশ্ববাসী পারস্পরিক ভালোবাসা ও সহানুভূতি দিয়ে একটি শরীরের মতো থাকবেন। যখন শরীরের কোন অঙ্গে ব্যথা হয় তখন পুরো শরীরে ব্যথা হয়।
এদিন নামাজ পরিচালনাকারী ইমাম গামাল ফালুদা বলেন, ওই বন্দুকধারী এখানে হামলা চালিয়ে বিশ্বের লাখ লাখা মানুষের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। আজ সেই একই জায়গা থেকে আমি শুধু ভালোবাসাই দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে, কিন্তু আমরা ভেঙে পড়িনি। আমরা জীবিত ও আমরা এক। আমরা কাউকেই আমাদের মাঝে বিভক্তি তৈরি করতে দেবো না।
এছাড়া দেশের অন্যান্য মসজিদও সব ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। মসজিদগুলোর সামনে ভালোবাসা ও সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে মানববন্ধন করবেন নিউ জিল্যান্ডবাসী।
হামলার পর থেকেই নিউ জিল্যান্ডবাসীও এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানিয়ে যাচ্ছেন। ফুল দেওয়ার স্থানগুলো ভরে গেছে। ফুলের সঙ্গে রয়েছে সমবেদনা জানিয়ে লেখা চিরকুটও। এছাড়া হতাহতদের প্রতি সংহতি ও দেশটিতে বসবাসরত মুসলিমদের প্রতি সম্মান জানিয়ে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু করে নিউ জিল্যান্ড। মুসলিম রীতিতে সালাম দিয়ে ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। মসজিদে হামলায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে গিয়ে পার্লামেন্টের স্পিকারকে সম্বোধন করে জাসিন্ডা বলেন, মিস্টার স্পিকার, আসসালামু আলাইকুম। পরে ইংরেজিতে বলেন, পিস বি আপন উইথ ইউ (আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক)।