সম্মিলন, শ্রদ্ধা ও নিরাপত্তার দৃঢ় বার্তা দেয় যে ছবি

নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডার্নের মাথায় হিজাব পরা ছবি প্রথমে বিশ্বের মনোযোগ কাড়ে। এবার ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলায় নিহতদের সমাধিতে নিরাপত্তায় নিয়োজিত এক তরুণ নারী পুলিশ কর্মকর্তা মাথায় হিজাব, হাতে অস্ত্র ধরা একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এই ছবিটিকে সম্মিলন, শ্রদ্ধা ও নিরাপত্তার শক্তিশালী প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

1553259817438

কনস্টেবল মিশেল ইভানের মাথায় কালভিন ক্লেইনে হিজাব, বুকে লাগানো লাল গোলাপ এবং হাতে ধরা রয়েছে বুশমাস্টার সেমি অটোমেটিক রাইফেল।

নিউ জিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম স্টাফ’র ফটো সাংবাদিক অ্যালডেন উইলিয়ামস জানান, ছবিটি তোলার সময় সম্মিলন, শ্রদ্ধা ও নিরাপত্তার বিষয়টিই তার চোখে ধরা পড়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমি ছবি তুলছি। কিন্তু হিজাব, অ্যাসল্ট রাইফেল ও গোলাপের কোনও সমন্বয় আমি এর আগে দেখিনি। এমনকি যদি তিনি এগুলোর কোনও একটি পরতেন তাহলেও বিষয়টি অন্যরকম হতো।

উইলিয়ামস জানান, বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যম সমাধীস্থলে আসা শোকাহত পরিবারের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছিল। এখানেই নিহতদের কয়েকজনকে সমাহিত করা হয়েছে।

ছবিটি স্টাফ’র লাইভ ব্লগে প্রথমে প্রকাশ করা হয়। এরপর উইলিয়াম নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা অন্য ছবির তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘এই ছবিটি দারুণভাবে নিউ জিল্যান্ডের সহিষ্ণুতা, সমবেদনা, মানবতা ফুটিয়ে তুলেছে।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এই ছবিটি অনেক অসাধারণ, সুন্দর ও শক্তিশালী।’

1553259817438 (1)

ইভান বেড়ে ওঠেছেন ওয়াঙ্গানুই এলাকায় এবং সেখান থেকেই পুলিশে যোগ দেন। ২০১৬ সালে ২২ বছরেই তিনি জানিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ার আকাঙ্ক্ষার কথা।

ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলায় ৫০ জন নিহতের ঘটনার এক সপ্তাহ পর দেশটির নারীরা মুসলিমদের প্রতি সংহতি জানাতে মাথায় হিজাব পরেছেন। শুক্রবার দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীরা হিজাব পরেন। অকল্যান্ডের চিকিৎসক থায়া আশমানের আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়। হামলার পর শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের মানুষেরা আল নূর মসজিদের সামনে জড়ো হন। অকল্যান্ড, ওয়েলিংটন ও ক্রাইস্টচার্চের নারীরা হিজাব পরে ছবি তুলে তা প্রচার করছেন। অনেকের সঙ্গে তাদের সন্তানরাও ছিল।