‘কথিত খিলাফতের পতন হলেও আইএস নিয়ে সজাগ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়া আইএসের কথিত খিলাফতের পতনের ঘটনা ইতিবাচক হলেও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি এখনও একটি হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে। ফলে আইএসকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করার আগ পর্যন্ত জঙ্গিদের ব্যাপারে সজাগ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে সিরিয়ায় মার্কিন সমর্থিত কুর্দি বিদ্রোহী বাহিনী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) দাবি করে, দেশটিতে আইএসের সর্বশেষ ঘাঁটির দখল নিয়েছে তারা। এরপরই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার কথা বলেন ট্রাম্প। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পপ্রতিবেদনে বলা হয়, আইএসের বিরুদ্ধে কুর্দি বিদ্রোহীদের এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে জঙ্গি সংগঠনটির কথিত খিলাফতের অবসান ঘটেছে। ইতোমধ্যেই এসডিএফ আইএসের শেষ ঘাঁটি বাঘুজে বিজয় নিশান উড়িয়েছে। টুইটারে দেওয়া পোস্টে এ ঘটনাকে ‘চূড়ান্ত সামরিক বিজয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এসডিএফ-এর মুখপাত্র। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকেও একই রকম মত দেওয়া হয়েছে।

ইরাক ও সিরিয়ায় পতনের পর বর্তমানে নাইজেরিয়া ও ফিলিপাইনের মতো দেশগুলোতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে আইএস।

ইরাকে ২০০৩ সালের মার্কিন আগ্রাসনের পর সেখানে সৃষ্ট গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ জন্ম নেয় আইএস। অতীতের যে কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর থেকে হিংস্রতা নিয়ে তারা আবির্ভূত হয় 'ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক' নামে। ২০১১ সালে তারা রাক্কাকে রাজধানী ঘোষণা করে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। গোষ্ঠীটির নতুন নামকরণ হয় ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট (সিরিয়া)। এক সময় ইরাক-সিরিয়ার ৮৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় জঙ্গিগোষ্ঠীটি। তাদের খেলাফতের অধীনস্ত হয় প্রায় এক কোটি মানুষ। তবে মার্কিন ও রুশ বাহিনীর বিমান হামলার পাশাপাশি ইরাক ও সিরিয়ায় বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিরোধ-যুদ্ধে পাঁচ বছর পর কথিত সেই খিলাফত সংকুচিত হয়ে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে সিরিয়ার ইউফ্রেটিস নদীর এক বাঁকে। সর্বশেষ মরুভূমির মধ্যে অবস্থিত সেই বাঘুজেতেও বিজয় নিশান উড়িয়েছে কুর্দিদের সংগঠন ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের’ (এসডিএফ)’ যোদ্ধারা।

এসডিএফের মুখপাত্র মুস্তাফা বালি টুইটার বার্তায় দাবি করেছেন, বাঘুজ মুক্ত হয়েছে ও দায়েশের (আইএসের অবমাননাকর নাম) বিরুদ্ধে সামরিক বিজয় সম্পন্ন হয়েছে। কথিত খিলাফতের পুরোপুরি পতন হয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাঘুজের কাছে বিজয় অনুষ্ঠানে এসডিএফের ব্যান্ড দল যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা ও এসডিএফের দলীয় পতাকার সামনে মার্কিন জাতীয় সঙ্গীতও পরিবেশন করেছে।