নিউ জিল্যান্ডের মসজিদে হামলা

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেল ২ বছর বয়সী গুলিবিদ্ধ শিশু

নিউ জিল্যান্ডের দুই মসজিদে সংঘটিত হামলায় আক্রান্ত সর্বকনিষ্ঠ শিশু  হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে। হামলার দিন বাবার সঙ্গে নামাজ পড়তে ক্রাইস্টচার্চের লিনউড মসজিদে গিয়েছিল দুই বছরের অ্যাভারুয়েজ।  বর্ণবাদী বিদ্বেষ বন্দুকের গুলি হয়ে আছড়ে পড়েছিল ছোট্ট ওই শিশুর শরীরেও। অ্যাভারুয়েজের মায়ের ফেসবুক পোস্টের সূত্রে নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ড জানিয়েছে, শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও বাড়িতেও তার খানিকটা চিকিৎসার প্রয়োজন হবে। বাবা জুলফিকার সাইয়াহ`র সঙ্গে অ্যাভারুয়েজ


১৫ মার্চ (শুক্রবার) ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট নামের সন্দেহভাজন হামলাকারীর লক্ষ্যবস্তু হয় নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদ। হামলায় নিহত অর্ধশত মানুষের মধ্যে লিনউড ইসলামিক সেন্টারে প্রাণ হারায় ৭জন। ওই মসজিদেই বাবার সঙ্গে নামাজ আদায় করতে গিয়েছিল দুই বছর বয়সী অ্যাভারুয়েজ। সন্দেহভাজন হামলাকারী ট্যারান্টের বন্দুকের গুলি যখন অ্যাভারুয়েজ’র দিকে ধেয়ে আসছিল, তখন তার বাবা জুলফিরমান সাইয়াহ সন্তানকে আগলে রেখে তার বেশিরভাগই ধারণ করেছিলেন নিজের শরীরে। তবুও পিঠে আর পায়ে গুলি লেগেছিল অ্যাভারুয়েজের।

অ্যাভারুয়েজ-এর মা  আালতামারি এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন হামলার দশদিন পর বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে তার ছেলে। এখন সে শারীরিকভাবে বেশ ভালো আছে। তারপরও বাড়িতে কিছুদিন তার চিকিৎসা নিতে হবে।

সন্তানকে বাঁচাতে তার বাবা জুলফিরমান সাইয়াহ যে বীরোচিত ভূমিকা নিয়েছিলেন, তা ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি গুলিতে বিদ্ধ হয়েছিল তার শরীর। আলতা মারি তার ফেসবুক পোস্টে আশা প্রকাশ করেছেন, এই সপ্তাহের কোনও একদিন তার স্বামীকেও হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তবে বাড়িতে নিবিড় চিকিৎসায় থাকতে হবে তার।

গত সপ্তাহে নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডেনের সঙ্গে দেখা করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেছেন, ‘তিনি ঠিক তেমন, যেমনটা তার হওয়ার কথা ছিল।’ জাসিন্ডাকে সমবেদনা, মানবিক আর্তি আর অন্যের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার মানবিক চৈতন্যসম্পন্ন মানুষ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। বলেছেন, জাতির অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা মেটাতে উদগ্রীব তাদের প্রধানমন্ত্রী।