ক্রাইস্টচার্চের হামলার ঘটনায় শীর্ষ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ জাসিন্ডা'র

ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় শীর্ষ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। তিনি বলেছেন, ১৫ মার্চের বন্দুক হামলার ঘটনা ঠেকাতে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের আরও বেশি কিছু করার ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখবে রয়েল কমিশন। নিউ জিল্যান্ডের রয়েল কমিশন হলো দেশটির আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ পর্যায়ের স্বাধীন তদন্ত কমিশন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

জাসিন্ডা আরডার্ন
১৫ মার্চ (শুক্রবার) ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট নামের সন্দেহভাজন হামলাকারীর লক্ষ্যবস্তু হয় নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদ। শহরের হাগলি পার্কমুখী সড়ক ডিনস এভিনিউয়ের আল নূর মসজিদসহ লিনউডের আরেকটি মসজিদে তার তাণ্ডবের বলি হয় অর্ধশত মানুষ। ট্যারান্টের বিরুদ্ধে নিউ জিল্যান্ডের আদালতে হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ দায়েরের কথা।

সোমবার (২৫ মার্চ) ওয়েলিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে জাসিন্ডা আরডার্ন ঘোষণা দেন, ভয়াবহ ওই সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ের তদন্ত হবে।  তিনি বলেন, ‘কিভাবে এ সন্ত্রাসী হামলা হলো এবং কী ব্যবস্থা নিলে এটি থামানো যেতো, তা জানতে সম্ভাব্য সব কিছুই করা হবে। একটি প্রশ্নের উত্তর আমাদেরকে অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে। তাহলো, আমরা আগে থেকে আরও কিছু জানতে পারতাম কিনা কিংবা জানা উচিত ছিল কিনা।’

জাসিন্ডা জানান, রয়েল কমিশনের আনুষ্ঠানিক ওই তদন্তে আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের সহজপ্রাপ্যতা ও হামলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে ওঠা প্রশ্নগুলোর উত্তরও খোঁজার চেষ্টা করা হবে।

নিউ জিল্যান্ডে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই। ১৫ মার্চের ওই হামলার ঘটনায় নতুন করে মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সে সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন জাসিন্ডা।

১৫ মার্চের হামলার পর নিউ জিল্যান্ডের অস্ত্র আইনে সংস্কার করার ঘোষণা দেন জাসিন্ডা। জানান, সব ধরনের আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, অ্যাসল্ট রাইফেল ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাগজিন নিষিদ্ধ করা হবে। সোমবার জাসিন্ডা জানান, ১১ এপ্রিল নাগাদ এ সংক্রান্ত নতুন আইন প্রণিত হতে পারে।