সোমবারই গোলানকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের স্বীকৃতি দিচ্ছেন ট্রাম্প!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অধিকৃত গোলান মালভূমিকে সোমবারই ইসরায়েলি ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারেন বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াসরায়েল কাতজ। তিনি বলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর উপস্থিতিতেই এই স্বীকৃতি দেওয়া হবে। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান মালভূমির দখল নেয় ইসরায়েল। ১৯৮১ সালে মালভূমিটিকে ইসরায়েল নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করে নেয়। গোলানে নিজেদের শাসন ও আইন বলবৎ করে দেশটি।  তবে ইসরায়েলের এ পদক্ষেপকে স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক বিশ্ব। তবে দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতি থেকে সরে এসে ২২ মার্চ শুক্রবার গোলান মালভূমি প্রশ্নে ভিন্ন অবস্থান প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।  

রবিবার এক টুইটবার্তায় ইয়াসরায়েল কাতজ বলেন, ‘আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর উপস্থিতিতেই গোলানকে ইসরায়েলি ভূখন্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।’

আগামী ৯ এপ্রিল ইসরায়েলে সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার দুইদিনের বৈঠকে অংশ নিতে হোয়াইট হাউস যাবেন নেতানিয়াহু। সেখানেই ট্রাম্প স্বীকৃতি দিতে পারেন বলে মন্তব্য ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক অন্যান্য যেকোন সময়ের চেয়ে দৃঢ়’।

এর আগে এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প দাবি করেন, ‘ইসরায়েল রাষ্ট্র ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গোলান মালভূমির অত্যন্ত কৌশলগত ও নিরাপত্তা গুরুত্ব রয়েছে।’ গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেওয়ার এখনই সময় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।

এর আগে, ২০১৭ সালে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ইসরায়েলস্থ মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। এর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বজুড়ে তুমুল নিন্দা ও প্রতিবাদ শুরু হয়। ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত কার্যকরকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মোকাবিলা করতে নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব তুলেছিল আরব দেশগুলো। পরিষদের ১৪ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র এতে ভেটো দেয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি উপেক্ষা করে সাধারণ পরিষদে ১২৮-৯ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়।