ইসরায়েলের ব্যাপারে উদার হওয়ার আহ্বান আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোকে উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনওয়ার গার্গাশ। ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার আইডিয়াজ আবুধাবি ফোরামের এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। এমন এক সময়ে তিনি এ আহ্বান জানালেন যখন সিরিয়ার গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

12ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট সমাধানে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বিষয়ে নিজের অনাস্থার কথাও জানান আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান সমর্থনযোগ্য নয়। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে গঠিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এতো ছোট হবে যে, তা বাস্তবসম্মত নয়।

আনওয়ার গার্গাশ বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে থাকা আরব দেশগুলোর বিদ্যমান সম্পর্কের ধরন পরিবর্তন করা উচিত। এই পরিবর্তন সাধিত হলেই ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।

আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আরব দেশগুলোর পক্ষ থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনও আলোচনায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত দশকের পর দশক সংকটের সমাধানের প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করেছে। অনেক বছর আগে আরব দেশগুলো ইসরায়েলের যোগাযোগ স্থাপন না করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এখন পেছনে তাকিয়ে দেখলে বোঝা যায়, সে সিদ্ধান্ত খুবই বড় ধরনের ভুল ছিল। আরব দেশগুলোর উচিত রাজনৈতিক সংকটের বিষয় এবং যোগাযোগ রাখা না রাখার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ আলাদা করে দেখা। শান্তি স্থাপনে আমাদের কৌশলগত ভূমিকা গ্রহণ করা জরুরি।’

মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে  মিসর ও জর্ডানের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। গত বছর ইসরায়েলের একজন মন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ওমান সফর করেন। এর মাধ্যমে ২২ বছরের মধ্যে প্রথবারের মতো কোনও ইসরায়েলি নেতার ওমান সফরে গেলেন।

নেতানিয়াহুর ওই সফরকে কেন্দ্র করে আরব রাজনীতিবিদ ও অধিকার কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে তীব্র সমালোচনা করেন। তাদের অভিযোগ, এর মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘স্বাভাবিক’ করে নেওয়া হচ্ছে।