অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতারের নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র: আইনজীবী

ইকুয়েডর যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধেই অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেছেন তার একজন আইনজীবী। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে লন্ডনস্থ ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

3500

২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) উইকিলিকসের টুইটে বলা হয়,ইকুয়েডর সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দুইটি সূত্র থেকে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিনের মধ্যে অ্যাসাঞ্জকে দূতাবাস থেকে তাড়ানো হতে পারে। সেই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে বৃহস্পতিবার তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর।
জামিন শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি ছিল ব্রিটিশ সরকারের। বৃহস্পতিবার সেই পরোয়ানা অনুযায়ীই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী জেন রবিনসন বলেছেন, ‘কেবল জামিন শর্ত ভঙ্গের কারণে নয়, অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যার্পণের অনুরোধ রক্ষা করতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’


২০১৮ সালের নভেম্বরে ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়া জেলা আদালতে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগ গঠনের নথি ভুল করে ফাঁস করে ফেলেন প্রসিকিউটররা। তবে গোপনে সেই বিচারিক অভ্যুত্থান ঘটানোর প্রচেষ্টা চলছে। স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।