দোহায় সৌদি নাগরিকদের স্বাগত জানানোর ঘোষণা কাতারের

দোহায় সৌদি নাগরিকদের স্বাগত জানানোর ঘোষণা দিয়েছে কাতার। একইসঙ্গে সৌদি জোটের সঙ্গে বিরোধ মেটাতে কুয়েতের মধ্যস্থতায় যে উদ্যোগ চলছে তার প্রতিও সমর্থন ব্যক্ত করেছে দেশটি। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরাহমান আল থানি বলেছেন, এই সংকট নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তার দেশের নেই। কেননা এটি কাতার তৈরি করেনি। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।

nonameজার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস-এর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা তুলে ধরেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরাহমান আল থানি বলেন, ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে দোহায় সৌদি নাগরিকদের স্বাগত জানানো হবে। অন্য সময়েও দোহা উপসাগরীয় অঞ্চলের কোনও দেশের বাসিন্দাদের কাতার সফরে কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেনি। যদিও কাতারের ওপর অবরোধ আরোপকারী দেশগুলো এর বিপরীত পদক্ষেপ নিয়েছে।

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ অবরোধ আরোপকারী সৌদি জোটের সঙ্গে নিঃশর্ত আলোচনায় প্রস্তুত রয়েছে। তবে এতে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন ও আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সবকটি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।

এর আগে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, আরব উপসাগরীয় দেশ কাতার ও তার বিরুদ্ধে অবরোধ ডাকা আরব দেশগুলোর মধ্যে চলমান বিবাদ ‘বহুদূর গড়িয়েছে। তিনি এই বিবাদের অবসান ঘটাতে চান। উল্লেখ্য, কাতার ও সৌদি আরব, দুই দেশই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র।

মাইক পম্পেও বলেন, কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর যে অবরোধ ঘোষণা করে রেখেছে, তাতে সুবিধা পাচ্ছে তাদের শত্রুরাই। তার ভাষায়, ‘তখন আমরা সবাই শক্তিশালী হই, যখন আমরা একসঙ্গে কাজ করি এবং আমাদের মধ্যে কোনও বিবাদ না থাকে। যেখানে আমাদের যৌথ স্বার্থ রয়েছে সেখানে বিবাদ বাড়ানো কোনও পক্ষের জন্যই ভালো নয়।’

এ অঞ্চলের দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ রাখাটা যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ওয়াশিংটন চায় ইরানকে প্রতিরোধ করতে। বিবাদ মীমাংসা করে মধ্যপ্রাচ্যের সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে নিয়ে ন্যাটোর মতো একটি জোট গঠনে আগ্রহী ট্রাম্প প্রশাসন।