২ ঘণ্টা আগেই শ্রীলঙ্কাকে সতর্ক করেছিল ভারতীয় গোয়েন্দারা

২১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বিস্ফোরণের মাত্র দুই ঘণ্টা আগে এ হামলার ব্যাপারে দেশটিকে সতর্ক করেছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। এর আগে গত ৪ এপ্রিল ও ২০ এপ্রিল রাতেও দুই দফায় লঙ্কান গোয়েন্দাদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দিল্লি। ভারত ও শ্রীলঙ্কার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলসহ আটটি স্থানে বিস্ফোরক দিয়ে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২১ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছে ৫০০ জনেরও বেশি। ওই হামলার একদিন পরই আবারও বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী কলম্বো। বোমার আঘাতে আহত হন এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা। ধারণা করা হচ্ছে, এটি রিমোট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত বোমা ছিল।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি’র হাতে পাওয়া নথি অনুযায়ী, গির্জায় হামলার ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার পুলিশকে আগেই সতর্ক করেছিল 'একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা'। ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল পুলিশ প্রধান পুজুথ জয়াসুনদারা দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা সতর্কতা পাঠান। এতে বলা হয়, 'একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত (এনটিজে) প্রখ্যাত চার্চ এবং কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।' এ সতর্কতা নিয়ে কথা বলেছেন শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার মুখপাত্র রজিথা সেনারত্ন।

তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ আগেই কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছিল। এতে হামলাকারীদের নামও উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে ওই সতর্কতা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে পর্যন্ত পৌঁছায়নি।

শ্রীলঙ্কায় প্রতিরক্ষা দফতরের দায়িত্ব দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার হাতে। বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে রজিথা সেনারত্ন বলেন, এটা দুনিয়ায় একমাত্র দেশ শ্রীলঙ্কা, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দেয় না। আমরা দায় এড়ানোর চেষ্টা করছি না, কিন্তু এটিই বাস্তবতা।