বিশেষ ক্ষমতা পাচ্ছে লঙ্কান সেনাবাহিনী

শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলার পর প্রায় একদশক পরে আবারও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে দেশটিতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গৃহযুদ্ধ অবসানের পর প্রথমবারের মতো বিশেষ জরুরি ক্ষমতা পাচ্ছে সেনাবাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

sri-Lanka-army-140126-800x500_c

২১ এপ্রিল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলসহ আটটি স্থানে বিস্ফোরক দিয়ে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২১ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছে ৫০০ জনেরও বেশি। ওই হামলার একদিন পরই আবারও বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী কলম্বো। বোমার আঘাতে আহত হন এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা। ধারণা করা হচ্ছে এটি রিমোট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত বোমা ছিল।

এক দশক আগে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের অবসানের পর এবারই প্রথম এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি দেশটি। সামরিক বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে জরুরি বিশেষ ক্ষমতা। এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে কোনরকম পরোয়ানা ছাড়াই তারা তল্লাশি ও আটক অভিযান চালাতে পারবে। আদালতের শুনানি ছাড়াও আটকে রাখতে পারবে দুই সপ্তাহ। গৃহযুদ্ধ অবসানের পর থেকে সামরিক বাহিনীকে এমন ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।

মঙ্গলবার কোনও প্রমাণ ছাড়াই 'আমাক'-এ সিরিজ বোমা হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। এর কিছু সময়ের মাথায় শ্রীলঙ্কার হামলাকারী পরিচয় দিয়ে তাদের নেতা বাগদাদির কাছে ৮ ব্যক্তির আনুগত্যের শপথ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশ করে তারা। শ্রীলঙ্কার পুলিশের দাবি, তারা ১০ দিন আগেই ন্যাশনাল তাওহিদ জামাতের হুমকির ব্যাপারে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন। ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি’র হাতে পাওয়া নথি অনুযায়ী, গির্জায় হামলার ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার পুলিশকে আগেই সতর্ক করেছিল 'একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা'।