ইরানের প্রভাব ঠেকানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে কাতার সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সফরকালে বুধবার কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরাহমান আল থানি-র সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন তিনি। এ সময় ইরানের ‘ক্ষতিকর প্রভাব’ মোকাবিলার উপায় বা কৌশল নিয়ে কাতারি মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন পম্পেও। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যকার অংশীদারিত্ব উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান পম্পেও।
এর আগে গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যে কোনও একটিকে বেছে নিতে এ অঞ্চলের আরেক দেশ লেবাননের প্রতি সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। লেবানন সফরকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেবরান বাসিলের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন। ইরান সমর্থিত লেবাননের শিয়াপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকারও অভিযোগ আনেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মাইক পম্পেও বলেন, লেবানন ও এর জনগণকে যে কোনও একটি বিকল্প বেছে নিতে হবে। সাহসের সঙ্গে একটি স্বাধীন ও গর্বিত জাতি হিসেবে সামনে অগ্রসর হওয়া অথবা ইরান ও হিজবুল্লাহর অন্ধকার অভিলাষের কাছে নিজেদের ভবিষ্যৎকে সঁপে দেওয়া। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর, আল জাজিরা।