অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের

জাতিসংঘের অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তি (এটিটি) থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২৬ এপ্রিল শুক্রবার ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ)-তে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি। তার ভাষায়, আমরা আমাদের সাক্ষর ফিরিয়ে নিচ্ছি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

২০১৩ সালে জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৩০টি দেশ এ চুক্তিতে সাক্ষর করে। দুনিয়াজুড়ে অস্ত্রের কেনাবেচা নিয়ন্ত্রণে আনাই ছিল এ চুক্তির লক্ষ্য। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জাতিসংঘের এ চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। তখন এনআরএ-সহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি কট্টরপন্থী গোষ্ঠী ও লবিস্ট গ্রুপ এর বিরোধিতা করেছিল।

ট্রাম্পের দাবি, এ চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদাহানি হয়েছে। এখন শিগগিরই এ চুক্তি থেকে আমেরিকার নাম প্রত্যাহারের জন্য জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিক নোটিস দেওয়া হবে। তার ভাষায়, আমার মেয়াদকালে আমেরিকা কারও কাছে তার সার্বভৌমত্ব সমর্পণ করবে না। অস্ত্র আইনের সংশোধনীতে বিদেশি কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের অনুমতি কিছুতেই দেওয়া হবে না।

ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, অস্ত্র রফতানিকারক দেশগুলোকে জাতিসংঘের কাছে তাদের অস্ত্র বাণিজ্যের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। রফতানিকৃত অস্ত্র কোনওভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা তা যাচাইবাছাই করতে হবে। গণহত্যা বা যুদ্ধাপরাধের মতো কর্মকাণ্ডে ব্যবহার অথবা সন্ত্রাসীদের হাতে পড়লে রফতানিকারক দেশকেই ওই অস্ত্র হস্তান্তর ঠেকানোর কথা বলা হয়েছে চুক্তিতে।

বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র রফতানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়ার চাইতে প্রায় ৫৮ শতাংশ বেশি অস্ত্র বিক্রি করে থাকে দেশটি। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই জাতিসংঘের অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।