ফণী’র প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি, ধ্বংসযজ্ঞ সরাতে ব্যস্ত উদ্ধারকর্মীরা

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী ক্রমশ দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও এর প্রভাবে ভারতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। ফণীর রেখে যাওয়া ক্ষতচিহ্ন সরাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশটির উদ্ধারকর্মীরা। উদ্ধার তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করতে আগামী ৬ মে ওড়িশা যাবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের গভর্নরের সাথেও কথা বলেছেন তিনি।noname

শুক্রবার সকালে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী। ঝড়ের তাণ্ডবে প্রাণ হারায় অন্তত আটজন। তারা সবাই ওড়িশা রাজ্যের বাসিন্দা। এছাড়া উপড়ে যায় বহু পাছপালা, ভেঙে যায় বহু বাড়ি। সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানে। সেখানেও ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়ে শনিবার সকালে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তবে এখনও এর প্রভাবে ভারতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ হয়ে ঘূর্ণিঝড়টি আবারও ভারতের ঝাড়খন্ডে প্রবেশ করতে পারে। একারণে কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সব জেলা প্রশাসকদের কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হলেও ঝাড়খন্ডে প্রবেশ করতে পারে। রাজ্য সরকারের সতর্কতায় বলা হয়েছে, রাজ্যের ২৪টি জেলাতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোল জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোনে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর কেশরি নাথ ত্রিপাঠির সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি মাঠপর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চান। যেকোনও ধরণের সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি। এক টুইট বার্তায় নরেন্দ্র মোদি জানান, ৬ মে ওড়িশা সফর করবেন।