চীনা মুসলিমদের রোজায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ

চীনের সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়কে রোজার আনুুুুষ্ঠানিকতা পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উইঘুরদের অধিকারভিত্তিক এক সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রমযানের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস নামের গ্রুপটির দাবি, জিনজিয়াং প্রদেশে প্রতিটি উইঘুর পরিবারকে রোজা না রাখার বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য বাড়িতে বাড়িতে নজরদারির কথাও বলা হয়েছে। গ্রুপটির মুখপাত্র দিলজাত রক্ষিত বলেছেন, কোনও একজন রোজা রাখলে আশেপাশের সবাইকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই উইঘুুুর মুসলিমদের ওপর চীনের শাসক দলের নিপীড়ন, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকার হরণের খবর পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে আনা হচ্ছে।

noname

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ উইঘুরমুসলিম। এই প্রদেশটি তিব্বতের মত স্বশাসিত একটি অঞ্চল।বিদেশি মিডিয়ার ওপর এখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোরবিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু গত বেশ কয়েক ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবরআসছে যে, সেখানে বসবাসরত ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ব্যাপক হারে আটকের শিকার হচ্ছে। উপবাস বা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের প্রতিবিশেষ আগ্রহকে চরমপন্থার প্রতীক হিসেবে দেখে চীন সরকার।

ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেসের মুখপাত্র দিলজাত রক্ষিত বলেন, স্থানীয় কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেইজিংপন্থী উইঘুররা নজর রাখছেন যাতে কেউ রোজা রাখতে না পারে। উইঘুর মিডিয়া অ্যাকটিভিস্ট আলিপ এরকিন বলেন, গত তিন বছর রমজানে রোজা পালন নিষিদ্ধ করতে গণ নজরদারি এবং আটকের ঘটনা বেড়েছে। এরিকন বলেন, মানুষ এখন আতঙ্কে থাকে তাদের হয়তো আটককেন্দ্রে পাঠিয়ে দেবে।

এমনসব অভিযোগের বিষয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ চীনের ধর্ম বিষয়ক প্রশাসনের কাছে মন্তব্য জানতে চেয়েও সাড়া পায়নি। তবে গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং সুহাং বলেন চীনের প্রশাসন আইন অনুযায়ী ধর্মীয় বিষয় রক্ষা করে থাকে। জিনজিয়াংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ধর্মীয় উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছি।