উ. কোরীয় জাহাজ আটকের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার জাহাজ আটক করলো যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার একটি উত্তর কোরীয় কার্গো জাহাজ আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করছিলো জাহাজটি।

_106894209_mediaitem106894208

ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বৈঠক কোনও চুক্তি ছাড়াই শেষ হওয়ার পর ক্রমেই অধৈর্য হয়ে ওঠে পিয়ংইয়ং। কিম বাজে চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন বলে অভিহিত করে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত মাসে কৌশলগত নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র পরীক্ষার কথা স্বীকার করে পিয়ংইয়ং। গত ৪ মে দক্ষিণ কোরিয়ার তরফে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। তার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো দুটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানালো তারা।

তবে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সঙ্গে এই জাহাজ আটক ঘটনার কোনো যোগসূত্র নেই। মার্কিন বিচার বিভাগ জানায়, ওই জাহাজটিতে করে কয়লা পরিবহন করা হতো, যা উত্তর কোরিয়ার প্রধান রফতানি পণ্য।  দেশটির কয়লা রফতানির ওপর জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

'ওয়াইজ অনেস্ট' নামের ওই জাহাজটিকে ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রথম ইন্দোনেশিয়ায় আটক করা হয়। সে বছর জুলাই মাসে সেটি জব্দ করার আবেদন করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ইন্দোনেশিয়া জাহাজটিকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়। এখন সেটি যুক্তরাষ্ট্রের পথে রয়েছে।

মার্কিন কৌসুলি জেফরি এস বের্ম্যান বলছেন, ''আমাদের অফিস জানতে পেরেছে যে, জাহাজের নিবন্ধন গোপন করে উত্তর কোরিয়া উন্নত মানের কয়লা বিদেশি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। তারা এর মাধ্যমে শুধু নিষেধাজ্ঞাই লঙ্ঘন করেনি, বরং এই জাহাজের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ায় ভারী যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বার বার নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।'