সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত সোমবার

সাড়াজাগানো বিকল্পধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা পুনরায় চালু করতে পারে সুইডেন। এবিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রীয় কুশলী।

5184

যৌন হয়রানির দুই অভিযোগে ২০১০ সালের ২০ আগস্ট সুইডেন অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে দুইটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে একদিনের মাথায় প্রত্যাহার করে নেয়। তবে সে দেশে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে ২০১০ সালের নভেম্বরে আবারও অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরোয়ানা জারি করা হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে তিনি যুক্তরাজ্যের আদালতে আত্মসমর্পণের ১০ দিনের মাথায় জামিন লাভ করেন। অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা আদালতে নতুন পরোয়ানাকে অবৈধ দাবি করলেও ২০১২ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যের আদালত একে বৈধ বলে  রায় দেয়। রায়ের প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য থেকে সুইডেনে বা যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হতে পারে আশঙ্কায় জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ জামিনের শর্ত ভঙ্গ করে ২০১২ সালের জুন মাসে অ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডর দূতাবাসে যান এবং রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। জামিন শর্ত ভঙ্গের দায়ে ১ মে তাকে ৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সুইডেনে করা ওই মামলা প্রায় এক দশক ধরে ঝুলে ছিলো। ২০১০ সালে ‍দুই সুইডিশ নারী ওই মামলা করেছিলেন। ২০১৫ সালে স্ট্যাচু অব লিমিটেশন ধারায় সেটি বাতিল হয়ে যায় এবং ২০১৭ সালে তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। সেসময় অবশ্য প্রসিকিউটর বলেছিলেন, পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে ওই মামলা আবার শুরু হতে পারে।

এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। গ্রেফতারের পর তাকে রাখা হয়েছে ‘যুক্তরাজ্যের গুয়ানতানামো বে’ নামের কুখ্যাত এক কারাগারে।

অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতারের পর ওই নারীর আইনজীবী এখন পুনরায় সেই মামলা ‍শুরুর দাবি জানিয়েছে। সুইডিশ প্রসিকিউশন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এক সংবাদ সস্মেলনের মাধ্যমে প্রসিকিউটর তারর সিদ্ধান্ত জানাবেন। সংবাদ সম্মেলনের আগেই তার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হবে।

এদিকে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীদের আশঙ্কা সুইডেনে গেলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যর্পণ করা হতে পারে।