ডুবে যাওয়া নৌকায় বাংলাদেশি শরণার্থীও ছিল

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূলে শুক্রবার ভয়াবহ নৌকাডুবিতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষও রয়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) উদ্ধৃত করে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ তথ্য জানিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে এ দুর্ঘটনায় ৬৫ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ১৬ জনকে জীবিত উদ্ধারের কথা জানিয়েছে তারা।

noname

তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা টিএপি’র খবর অনুযায়ী ডুবে যাওয়া নৌকায় ৭০ জনেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী ছিল। সি ফ্যাক্স উপকূলের ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে এটি ডুবে যায়। দেশটির রাজধানী তিউনিস থেকে ওই স্থানের দূরত্ব প্রায় ২৭০ কিলোমিটার। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মর্মান্তিক ওই নৌকাডুবির পর অভিবাসীদের উদ্ধারে একটি মাছ ধরার নৌযান নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তিউনিস নৌবাহিনী। তারা জীবিতদের পাশাপাশি তিনজনের মরদেহ উদ্ধারে সমর্থ হয়।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম নৌকাডুবির এই ঘটনাকে ভূমধ্য সাগরের 'আরেকটি বিয়োগান্তক ঘটনা' আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, জাহাজটি পার্শ্ববর্তী দেশ লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ছেড়ে এসেছিল। সম্প্রতি সে দেশে সংঘাত জোরালো হয়েছে। সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়া শরণার্থীদের মধ্যে লিবীয় ছাড়াও বাংলাদেশ এবং মরক্কোর নাগরিকেরা ছিল। তবে নৌকাটিতে ঠিক কতজন বাংলাদেশি বা কোন দেশের কতজন নাগরিক ছিল তা জানা যায়নি।

ধারণা করা হচ্ছে, নৌকাডুবির শিকার যাত্রীরা আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।

ভূমধ্যসাগরের ভয়ঙ্কর এ পথটিতে প্রায় সময়ই শরণার্থীসহ নৌকাডুবির খবর পাওয়া যায়। এদিক দিয়ে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে লিবিয়া থেকে শরণার্থীরা নৌকাযোগে ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করে থাকে। ইউএনএইচসিআরের হিসাবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ১৬৪ জন নিহত হয়েছে। কেবল গত জানুয়ারি মাসের এক নৌকাডুবির ঘটনাতেই ১১৭ জন নিঁখোজ হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।