আবারও গ্রেফতার ম্যানিং

অ্যাসাঞ্জের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানানোয় আবারও গ্রেফতার হতে হলো মার্কিন সেনা গোয়েন্দা সংস্থার  সাবেক বিশ্লেষক ব্র্যাডলি ম্যানিংকে (চেলসি ম্যানিং)। ১৬ মে সাড়াজাগানো বিকল্পধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে এক তদন্তের অংশ হিসেবে গ্র্যান্ড ‍জুরির সামনে জবানবন্দি দিতে বলে রাজি হননি তিনি।

 

ইরাকে গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করার সময় উইকিলিকসের কাছে কয়েক লাখ মার্কিন সামরিক গোপন নথি ফাঁস করে দেন তখনকার ব্রাডলি ম্যানিং। ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে সাত লাখ নথি ফাঁসের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হলে হরমোন থেরাপির পর চেলসি ম্যানিং নামে নারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বিচারে তাকে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত বছরের মে মাসে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান তিনি। চলতি বছর মার্চে ম্যানিংকে আটক করে পুলিশ। ৬২ দিন পুলিশি  হেফাজতে থাকার পর বৃহস্পতিবার মুক্তি পান তিনি। তবে ১৬  মে গ্র্যান্ডজুরির সামনে তাকে আবারও উপস্থিত হতে হবে

ম্যানিংয়ের আইনী দলের মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টেপানিয়ান বলেন, বিচার অ্যান্থনি ত্রেঙ্গার নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে তাকে। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রেঙ্গা তাকে আবারও কারাগারে পাঠিয়েছেন। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জবানবন্দি না দলে প্রতিদিন ৫০০ ডলার করে জরিমানা গুণতে হবে তার। আর ৬০ দিনের মধ্যে না দিলে প্রতিদিনের জরিমান হবে ১ হাজার মার্কিন ডলার।

ম্যানিং বলেছেন, ‘সরকার এমন কোনও কারাগার তৈরি করতে পারবে না, এমন কোনও ব্যবস্থা তৈরি করতে পারবে না যা আমাকে আমার আদর্শ থেকে সরাতে পারবে।  প্রয়োজনে আমি না খেয়ে মারা যাবো।’ জবাবে বিচারক বলেন, মার্কিন নাগরিক দায়িত্বপালনে অসম্মানের কিছু নেই।

আদালত থেকে বের হওয়ার সময় ম্যানিং বলেন, আসলে আমাকে সামরিক আদালতে নিয়ে যাওয়ার পায়তারা চলছে। আমার মুক্তি পাওয়া কারও কাছেই ভালো লাগেনি।      

প্রতিবার মুক্তির পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের স্বচ্ছতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও তৃতীয় লিঙ্গের সমতা নিয়ে সরব ছিলেন ম্যানিং।