লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বুথ ফেরত জরিপ নিয়ে কী বলছেন বিরোধীরা

ভারতে এবারের লোকসভা নির্বাচনের বুথফেরত জরিপে ঢেউ তুলেছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। দুই বুথফেরত জরিপে আবারও বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের ক্ষমতায় আসার আভাস পাওয়া গেছে। তবে এই বুথফেরত জরিপ আমলে নিতে রাজি নন দেশটির বিরোধী দলীয় নেতারা। তাদের দাবি, ইভিএমের মাধ্যমে ফল বদলে দেওয়ার কারসাজি করা হচ্ছে এই জরিপের মাধ্যমে।

119807-htrcxeblfe-1558000940

২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল শুরু হয়েছিল ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচন। ইতোমধ্যে ছয় দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শেষ দফায় মোদি ছাড়াও অন্য হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোজ সিনহা, রবিশঙ্কর প্রসাদ, এইচ কে বাদল এবং হরদীপ সিং পুরি। বুথফেরত জরিপ অনুযায়ী প্রায় তিনশ’র কাছাকাছি আসন নিয়ে আবারও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। এ পর্যন্ত পাওয়া জরিপের ফলাফলকে গড় করে সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ২৩ তারিখ ঘোষিত ফলাফলে ২৯৮টি আসন পেতে যাচ্ছে বিজেপি জোট।

তবে পশ্চিমবঙ্গের ‍মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমি বুথফেরত জরিপের রটনায় বিশ্বাস করি না। এটা একটা গেম প্ল্যান, যাতে এই রটনার মাধ্যমে হাজার হাজার ইভিএম বদলে দেওয়া যায়। আমি সব বিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আবেদন জানাচ্ছি। শক্তিশালী থাকুন। আমরা সবাই একসঙ্গে লড়াই করবো।’

তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ডেরেক ও ব্রায়ানও ইভিএম কারসাজির প্রতিই ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, এই তথাকথিত বুথ ফেরত জরিপ শুধু দ্বিধাই তৈরি করবে। সবার উচিত ২৩ তারিখ মূল ফলের জন্য অপেক্ষা করা।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংও বুথফেরত জরিপ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন এর সত্যতা প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি বলেন, আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি যে পাঞ্জাবে গিয়ে আমি নিজেও ভোটারদের মনোভাব বুঝতে পারবো না। তাহলে জরিপ কিভাবে ঠিক হয়।  

তবে কংগেসমিত্র ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আব্দুল্লাহ বলেন, সবগুলো বুধফেরত জরিপ ভুল হতে পারে না। তিনি বলেন, ‘এখন টিভি বন্ধ করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বের হয়ে ২৩ তারিখের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

অন্যদিকে নির্বাচনে বুথফেরত জরিপই সব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি ভেনকাইয়াহ নাইডু। তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে ১৯৯৯ সালের পর থেকে সবগুলো বুথফেরত জরিপের ফলাফলই ভুল এসেছে। এটি প্রকৃত অর্থ বহন করে না।’