পদত্যাগ করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে

ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। আগামী ৭ জুন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক আবেগপূর্ণ বক্তব্যে তিনি বলেন ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের রায়কে সম্মান দেখানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন তিনি। ব্রেক্সিট চূড়ান্ত হওয়ার আগেই পদত্যাগ করতে হওয়ায় ‘গভীর অনুতপ্ত’ হওয়ার কথাও জানান তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, থেরেসার পদত্যাগের ফলে নতুন নির্বাচন করতে হবে ক্ষমতাসীন দলকে। তিনিই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন।noname

২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের রায় অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ রাত ১১টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ ত্যাগের কথা ছিল যুক্তরাজ্যের। ব্রেক্সিট পরবর্তীকালে ইইউ’র সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের শর্ত নির্দিষ্ট করে তৈরি হয় ব্রেক্সিট চুক্তি। এ চুক্তি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস করানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তিন দফায় তা হাউস অব কমন্সে পাস করাতে ব্যর্থ হন। তবে তৃতীয় দফায় চুক্তিটি পার্লামেন্টে তোলার আগে ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে সমর্থ হন থেরেসা মে। ব্রেক্সিট ইস্যুতে  নিজ দলের পার্লামেন্ট সদস্যদের পাশাপাশি বিরোধী দলের সদস্যদের রাজি করানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলেও শেষ পর্যন্ত সতাতে সফলতা পাননি তিনি।

শুক্রবার নিজের বিবৃতিতে থেরেসা বলেছেন, তিনি না পারলেও তার উত্তরসূরী হয়তো পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতা সৃষ্টি করতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘এই ধরণের সমঝোতা কেবল তখনই সম্ভব যখন বিতর্করত সব পক্ষ আপস করতে রাজি হবে’।

আবেগপূর্ণ ভাষায় থেরেসা বলেন, ‘অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই আমি আমার কাজ ছেড়ে দেব কিন্তু যে সম্মান আমি নিয়ে যাচ্ছি তা সারাজীবন ধরে রাখবো। দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলাম কিন্তু অবশ্যই শেষ নারী প্রধানমন্ত্রী হবো না’। ব্রেক্সিট ইস্যুতে নিজের নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে আমি কিছু করিনি।