‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি’তে সমর্থন পেতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে কুশনার

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনারের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দল মধ্যপ্রাচ্যে রওনা হয়েছেন। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত জেসন গ্রিনব্লাট এবং ইরান বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের দূত ব্রায়ান হুক। মরক্কোর রাজধানী রাবাত থেকে সফর শুরু করে প্রতিনিধি দলটি এই সপ্তাহে জর্ডানের রাজধানী আম্মান ও জেরুজালেম সফরের কথা রয়েছে। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে ট্রাম্প কথিত শতাব্দীর সেরা চুক্তির বিষয়ে সমর্থন আদায়ে এই সফরে গেছেন মার্কিন প্রতিনিধি দলটি। তবে ফিলিস্তিনিদের তরফ থেকে আগেই এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।জারেড কুশনার

আগামী ২৫ ও ২৬ জুন বাহরাইনের রাজধানী মানামায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন একটি সম্মেলনে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত চুক্তির প্রথম অংশ প্রকাশের কথা রয়েছে। ওই সম্মেলনে জারেড কুশনার চুক্তির এই অংশ প্রকাশ করবেন। চুক্তিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার রাজনৈতিক সংঘাত নিয়ে আলোচনার পূর্বে দখলকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় আরব দাতা দেশগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হবে। চুক্তিতে ইসরায়েলের পক্ষে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে মানামা সম্মেলনে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।

সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন মানামা সম্মেলনে অংশ নেবে তারা। অপর দিকে চীন ও রাশিয়া জানিয়েছে, এই সম্মেলনে প্রতিনিধি পাঠাবে না তারা। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই সম্মেলনে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ৩০০ থেকে ৪০০ প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ওই সম্মেলনে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ অংশ না নিলেও কয়েকজন ব্যবসায়ী অংশ নিতে পারেন।

প্রস্তাবিত এই শান্তি চুক্তিতে রাজনৈতিক সমাধানে এখনও কোনও সময়সূচি জানায়নি ওয়াশিংটন। ধারণা করা হয়ে থাকে, ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও জামাতা জারেড কুশনার এই চুক্তির প্রধান পরিকল্পনাকারী। আর ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের আইনজীবী গ্রিনব্লাট তার ডানহাত হিসেবে কাজ করেছেন। এই পরিকল্পনা নিয়ে সফলতা পেতে মধ্যপ্রাচ্য সফরের প্রতিনিধি দলে এই দুজনেই রয়েছেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, জর্ডানের বাদশাহ এখনও বাহরাইনের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেননি। মরক্কোর তরফ থেকেও স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। তবে প্রস্তাবিত এই শান্তি চুক্তির আলোচনায় দেশ দু‘টির অংশগ্রহণ জরুরি বলে মনে করছেন কুশনার।