এ অর্থবছরে বাংলাদেশের ৭.৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশাবাদ বিশ্ব ব্যাংকের

বর্তমান অর্থবছরে (১ জুলাই ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০১৯) বাংলাদেশের ৭.৩ শতাংশ পর্যন্ত জিডিপি প্রবৃদ্ধি হওয়ার আভাস দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। এটি পূর্বের আভাসের চেয়ে ০.৩ শতাংশ বেশি। শুধু তাই নয়, আগামী দুই বছরের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাত্রাও পূর্ববর্তী আভাসের তুলনায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের ৭.৪ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৭.৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক, যা আগের আভাসের চেয়ে যথাক্রমে ০.৬ ও ০.৫ শতাংশ বেশি। মঙ্গলবার (৪ জুন) বিশ্ব ব্যাংক প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিশ্ব ব্যাংকের লোগো
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। আগামী তিন অর্থ বছরে (২০১৯, ২০২০, ২০২১) দেশটির জিডিপিতে ৭.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে (১৬ জুলাই থেকে শুরু) পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি আরও কমে যাওয়ার আভাস দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।

বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, রেমিটেন্স প্রবাহ ঠিক হওয়ায় ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে (জুলাই ১ ২০১৮ থেকে জুন ৩০, ২০১৯) বাংলাদেশের ৭.৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে, যা আগের আভাসের চেয়ে ০.৩ শতাংশ বেশি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের প্রথম ভাগে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে রফতানি (বিশেষ করে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাতে) উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

বিশ্ব ব্যাংকের মতে, দুর্বল বিশ্ব বাণিজ্য ও ম্যানুফেকচারিং-জনিত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। ২০১৯ সালে ৬.৯ শতাংশ আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে। অঞ্চলটির বেশিরভাগ জায়গায় বেসরকারি ভোগ ও বিনিয়োগ দৃঢ় রয়েছে, শুধু পাকিস্তানে তা ধীর গতির। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে অঞ্চলটির সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ ভারতে ৭.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। মার্চে এ অর্থবছর শেষ হবে।