উগ্র ডানপন্থী হাঙ্গেরিয়ান প্রধানমন্ত্রীই এখন নিঃসঙ্গ সু চির বন্ধু

এক সময় যে ইউরোপ অং সান সু চিকে দক্ষিণ এশিয়ায় ‘গণতন্ত্র ও মুক্তির’ প্রতীক বলে মনে করতো, সেই রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে নেতিবাচক ভূমিকার কারণে সেই ইউরোপ থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন তিনি। এমন নিঃসঙ্গ অবস্থায় একজন ইউরোপীয় নেতার সমর্থন আদায়ে সমর্থ হয়েছেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে হাঙ্গেরির উগ্র ডানপন্থী  অভিবাসনবিরোধী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ও সু চির সখ্যের বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। 

noname

অর্থনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রত্যয়ে ইউরোপ সফরে গেছেন সু চি।  সেখানে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। এই সফরেই বুধবার বুদাপেস্টে ভিক্টর অরবানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা। দুই নেতার বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসলাম ও অভিবাসন নিয়ে তারা দুজনেই একই দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে দুই দেশ ও তাদের অঞ্চল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অভিবাসন। একইসঙ্গে মুসলিমদের নিয়েও অভিন্ন অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে দুই নেতার বক্তব্যে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সুচি-আরবান বৈঠকে ক্রমাগত বাড়তে থাকা মুসলিম জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সহাবস্থানের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর চালানো জাতিগত নিধনযজ্ঞ নিয়ে বিতর্কিত ভূমিকা পালনের জন্য অনেকের কাছে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সু চি একজন অবাঞ্ছিত মানুষ। উল্টো নিপীড়নের ঘটনায় হস্তক্ষেপে অস্বীকৃতি, কথিত ‘আইনের শাসন’ অনুসরণ করার অজুহাত নিয়ে তার উপর ক্ষুব্ধ বিশ্বনেতৃত্ব। রয়টার্স সাংবাদিকদের কারাবন্দি করার ঘটনায় তার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও জোরালো হয়ে ওঠে।  অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসন নীতির কট্টর সমালোচক অরবান। ২০১৮ সালে অভিবাসীদের সহায়তাকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করার উদ্যোগ নেয় তার বিদ্বেষী সরকার। এতে অভিবাসীদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনে সাহায্যকারীকেও অপরাধীর কাঠগড়ায় তোলা হয়।