কাশ্মিরের সেই শিশু ধর্ষণে ৬ জন দোষী সাব্যস্ত

কাশ্মিরের কাঠুয়ায় আট বছরের এক মুসলিম শিশুকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আটজনের মধ্যে ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ভারতের আদালত। তাদের সর্বনিম্ন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

অভিযুক্ত আটজনের মধ্যে একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। অন্যজনের বয়স নিয়ে বিতর্ক থাকায় তাকে বিচার প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যেসব ধারায় চার্জশিট জমা পড়েছে তাতে ফাঁসির সাজা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।

গত ৩ জুন শুনানি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পুরো শুনানি পর্ব ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।

২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি জম্মু-কাশ্মিরের কাঠুয়া এলাকায় ঘোড়া চরানোর সময় ওই মেয়েশিশুকে অপহরণের পর স্থানীয় মন্দিরে নিয়ে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।

শিশুটিকে অপহরণের জন্য অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও দেবীস্থান মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণকারী সানজি রাম তার ভাগ্নে ও একজন পুলিশ সদস্যকে নির্দেশ দেয়। নির্দেশ বাস্তবায়নের পর সাত দিন ধরে মন্দিরে আটকে রেখে একদল হিন্দু পুরুষ ধর্ষণ করে আসিফাকে। পরে মাথায় পাথর মেরে ও গলাটিপে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তদন্তে নামে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে একজন সাব-ইন্সপেক্টর ও হেড কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার মূল অভিযুক্ত সাবেক রাজস্ব অধিকর্তা সানজি রাম গত ২০ মার্চ আত্মসমর্পণ করেন।

এই ঘটনায় সানজি রামের ছেলে বিশাল, বন্ধু আনন্দ দত্ত এবং দুইজন বিশেষ পুলিশ অফিসারসহ কয়েকজন জড়িত বলে দাবি পুলিশের। তদন্তে উঠে আসে, এই ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার নেপথ্যে আরও একটি বিষয় রয়েছে। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়কে ভয় দেখাতেই বর্বরোচিত এই শিশুধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়।

কাঠুয়ার যে গ্রামে আসিফা থাকতেন, সেই রাসানা গ্রামটি হিন্দু অধ্যুষিত। আসিফার ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে বিভক্ত ওই গ্রাম। ধর্ষকদের বিচারের আওতামুক্ত করতে মিছিলও হয়েছে সেখানে।