দেড়শ ফুট গভীর গর্ত থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার সেই ভারতীয় শিশু

পরিত্যক্ত এক গভীর নলকূপের গর্তে ৫ দিন ধরে আটকে থাকা দুই বছরের সেই ভারতীয় শিশুকে শেষ পর্যন্ত বের করে আনা সম্ভব হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। ১৫০ ফুট গভীর গর্ত থেকে উদ্ধার করে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, পাঞ্জাবের সাংগ্রুর জেলার ভগবানপুরা গ্রামের ওই শিশুটির নাম ফতেবীর সিংহ।

borewallchild215-903778172_6

পুলিশ জানিয়েছে, গত ৬ জুন ( বৃহস্পতিবার) বিকালে ওই পরিত্যক্ত কূপটির পাশে খেলা করছিল শিশুটি। সাত ইঞ্চি চওড়া ওই কূপের মুখটি ঢাকা দেওয়া ছিল একটি কাপড় দিয়ে। খেলা করতে করতে শিশুটি সেই কাপড়ে পা দিয়ে ফেলে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটির ওজনে কাপড়টি ছিঁড়ে যায়। শিশুটি পড়ে যায় গভীর কুয়োয়। তার মা তাকে উদ্ধারের অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু শিশুটিকে বের করে আনতে ব্যর্থ হন তিনি।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা টানা ৫ দিনের প্রচেষ্টায় ১১ জুন (মঙ্গলবার) ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ গভীর কুয়া থেকে ওপরে তুলে আনেন শিশুটিকে। তাকে কূপের ১২৫ ফুট গভীরতা থেকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য ৩৬ ইঞ্চি চওড়া নতুন একটি কূপ খোঁড়া হয় ওই পরিত্যক্ত কূপের পাশে। তোলার পর চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শিশুটিকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কূপের কাছেই রাখা ছিল একটি চপার। কিন্তু সেই চপারে না তুলে গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ১৫০ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে। শিশুটিকে কোনও খাবার বা পানি দেওয়া সম্ভব হয়নি। দেওয়া হয়েছিল শুধুই অক্সিজেন। এই গাফিলতির প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা গতকাল বিক্ষোভ দেখানোর পর টুইট করে এই ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ। তিনি শিশুটির পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন।