যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি পরিবর্তনের অঙ্গীকার সাজিদ জাভিদের

যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি পরিবর্তনের অঙ্গীকার করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হওয়ার দৌড়ে থাকা এ রাজনীতিক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে তিনি আরও ব্যবসাবান্ধব একটি অভিবাসন ব্যবস্থা চালু করবেন।

nonameব্রেক্সিট নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে করা খসড়া চুক্তি পার্লামেন্ট বাতিল করে দেওয়ায় ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ৭ জুন পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও উত্তরসূরি খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকছেন তিনি। আগামী জুলাইয়ের শেষ দিকে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচন করা হতে পারে। নবনির্বাচিত নেতাই পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন। ইতোমধ্যেই কনজারভেটিভ পার্টির দলীয় প্রধান ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদসহ ১০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র কঠোর অভিবাসন নীতি থেকে সরে আসার অঙ্গীকার করেছেন সাজিদ জাভিদ। সংবাদমাধ্যম ইভনিং স্ট্যার্ন্ডান্ড-কে বলেন, লন্ডনের মতো যেসব এলাকা বিদেশি মেধাবীদের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে সেখানে ভিন্ন নিয়ম চালুর বিষয়টি তিনি খোলা মনে দেখে থাকেন।

তার এমন অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে অভিবাসী ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভিদ (৪৯) এক সময় ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে ভোট দিলেও এখন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী। চুক্তি নিয়ে হোক কিংবা বাদ দিয়েই হোক ব্রেক্সিটের বাস্তবায়ন দেখতে চান তিনি।

২০১৮ সালের এপ্রিলে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান সাজিদ জাভিদ। ‘উইন্ডরাশ জেনারেশন’ (১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সালে যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসী)-এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে দেশছাড়া করার সরকারের এক নির্মম পরিকল্পনা নিয়ে সমালোচনার মুখে পূর্বসূরী অ্যাম্বার রাড বিদায় নিলে তিনি তার স্থলাভিষিক্ত হন। পাকিস্তানি অভিবাসী বাস চালকের সন্তান সাজিদ জাভিদকে একটি আধুনিক, বহু-সংস্কৃতি ও মেধাভিত্তিক ব্রিটেনের প্রতিচ্ছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।