বৃহস্পতিবার গুজরাট উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় বায়ু

মাসখানেক আগে ভারতের ওড়িশায় আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ফণী। এবার গুজরাটের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে আরেক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বায়ু।  বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালের দিকে গুজরাট উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঝড়টি। এদিন  ঘণ্টায় ১৪৫-১৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। হাওয়ার গতিবেগ বেড়ে হতে পারে ঘণ্টায় ১৭০ কি.মি। ভারতের আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি এসব তথ্য জানিয়েছে। এরইমধ্যে গুজরাটের উপকূলীয় এলাকায় জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। সেখানে আগাম সর্তকতা হিসেবে বুধবার থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখছে প্রশাসন। 

প্রতীকী ছবি
আরব সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ মঙ্গলবারই (১১ জুন) ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ‌এটি তীব্র শক্তিশালী মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে বায়ু। পোরবন্দরের কাছে ভেরাভেল, দিউয়ের মাঝামাঝি অঞ্চল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল পেরোবে। এই ঘূর্ণিঝড় ফণীর মতো ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ঝড়ের কবলে পড়তে পারে কচ্ছ, দেবভূমি দ্বারকা, পোরবন্দর, রাজকোট, দিউ, গির সোমনাথ, আমরেলি ও ভাবনগর।

দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে গুজরাট সরকার। রাজ্যের বন্দরগুলোতে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গুজরাট এবং দমন দিউ মিলিয়ে মোট তিন লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মোট ৭০০টি  কেন্দ্রে এই তিন লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। ১৫ তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুধু গুজরাট নয়, মহারাষ্ট্র উপকূলের জন্যও এই সতর্কবার্তা জারি থাকছে। তবে তা শুধু বুধ ও বৃহস্পতিবারের জন্য বলবৎ থাকবে। দ্বারকা এবং সোমনাথের মতো জায়গায় যে সমস্ত পর্যটকরা রয়েছেন তাদের আজ বিকালের মধ্যে অন্যত্র চলে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি।