জাকারবার্গের নকল ভিডিও সরাচ্ছে না ফেসবুক

মার্ক জাকারবার্গের নকল একটি ভিডিও ইন্সটগ্রাম থেকে সরাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। ভিডিওতে দেখা গেছে, নিজের সফলতার জন্য একটি গোয়েন্দা সংস্থাকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গ। আর্টিফিশিয়্যাল ইনটেলিজেন্স (এআই) সফটওয়্যার ব্যবহার করে ‘ডিপফেক’ বা নকল ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। এ সফটওয়্যারের সাহায্যে কোনও ব্যক্তির সক্রিয় থাকার ভিডিওর সঙ্গে কম্পিউটার প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি মুখের ছবি জুড়ে দিয়ে তাকে ইচ্ছেমতো উপস্থাপন করা যায়।

জাকারবার্গ
সম্প্রতি স্পেকটার নামক শেফিল্ডের ডিসপ্লেতে আর্ট ইন্সটলেশনের জন্য জাকারবার্গের নকল ভিডিওটি তৈরি করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দ্বারা কিভাবে মানুষের ওপর নজরদারি চালানো ও তাদেরকে প্রভাবিত করা যায়, তার প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাসহ অন্য কেলেঙ্কারিগুলোর আলোকে তা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

আর তা করতে গিয়ে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী জাকারবার্গের পুরনো একটি ফুটেজ থেকে নেওয়া তার দেহভঙ্গিমার সঙ্গে কম্পিউটারে তৈরি মাথার ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে ওই ভিডিওতে। পুরনো সে ফুটেজটি ২০১৭ সালের। সিলিকন ভ্যালিতে ফেসবুকের সদর দফতরে দেওয়া তার ভিডিও প্রেজেন্টেশন থেকে তা নেওয়া হয়েছে। সব মিলে জাকারবার্গের নকল যে ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে তাতে কণ্ঠ দিয়েছেন এক অভিনেতা।

শনিবার (৮ জুন) ইন্সটগ্রামে ১৬ সেকেন্ডের ওই ভিডি ক্লিপ আপলোড করা হয়। মঙ্গলবার (১১ জুন) মাদারবোর্ডে ওই ভিডিও নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে এটি সবার নজর কাড়ে। ইন্সটগ্রামের ওই পোস্টটি ২৫ হাজার বারেরও বেশি ভিউ হয়েছে। ফেসবুক নিজেও তা শেয়ার করেছে।

ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইনস্টাগ্রামে অন্য যেসব ভুয়া তথ্যকে যেভাবে দেখা হয়, এটি সেভাবে দেখা হবে। যদি থার্ড পার্টি ফ্যাক্ট চেকাররা একে ভুয়া বলে মত দেয়, তবে তা ফিল্টার করা হবে।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির একটি বিকৃত ভিডিও সরাতে অস্বীকৃতি জানায় ফেসবুক। এতে পেলোসি ক্ষিপ্ত হন। ভিডিওটি অবশ্য ডিপফেক ছিল না। সেখানে তার বক্তব্যকে বিকৃত করে উপস্থাপন করার জন্য তা ধীর গতির করে দেওয়া হয়েছিল।