অভিযোগ অস্বীকার করলো নিউ জিল্যান্ডে হামলাকারী, আদালতে ক্ষোভ আর কান্না

নিউ জিল্যান্ডের আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে ক্রাইস্টচার্চের হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্ট। শুক্রবার (১৪ জুন) আইনজীবীর মাধ্যমে দেওয়া জবানবন্দিতে ট্যারান্ট তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অকল্যান্ডের কারাগার থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে ওই শুনানিতে অংশ নেয় সে। সে সময় আদালতে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন। 

গত ১৬ মার্চ ট্যারান্টকে প্রথমবারের মতো আদালতে হাজির করা হয়েছিল
গত ১৫ মার্চ  ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ট্যারান্টের লক্ষ্যবস্তু হয় নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদ। শহরের হাগলি পার্কমুখী সড়ক ডিনস এভিনিউয়ের আল নুর মসজিদসহ লিনউডের আরেকটি মসজিদে তার তাণ্ডবের বলি হয় অর্ধশত মানুষ। হামলার দিনই গ্রেফতার হয় ট্যারান্ট। এরপর ১৬ই মার্চ তাকে প্রথম আদালতে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে ৫১ জনকে হত্যা, ৪০ জনকে হত্যা চেষ্টা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডে এটিই প্রথম সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার ঘটনা।

শুক্রবার (১৪ জুন) ক্রাইস্টচার্চের হাইকোর্টে ট্যারান্টের বিরুদ্ধে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে অকল্যান্ডের একটি উচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টিত কারাগারে রয়েছে ট্যারান্ট। সেখান থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নেয় সে। হামলা থেকে বেঁচে যাওয়াদের কয়েকজনসহ নিহতের স্বজনেরা শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।আইনজীবীর মাধ্যমে  আদালতে উপস্থাপিত জবানবন্দিতে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ট্যারান্ট। আইনজীবী যখন ট্যারান্টের জবানবন্দিটি পড়ে শোনান, আদালত কক্ষে তখন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকে আবার ডুকরে কেঁদে ওঠেন।

এপ্রিলে যখন ট্যারান্ট আদালতে হাজিরা দিয়েছিল, তখন তাকে মানসিক চিকিৎসা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এখন আর তার সুস্থতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের ৪ মে পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম চলবে। আর ১৬ আগস্ট পরবর্তী শুনানির আগ পর্যন্ত কারা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি করা হবে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ওই হামলাকারীকে।