জাতিসংঘে আবারও বাংলাদেশের মর্যাদাপূর্ণ অর্জন

মানবাধিকার কমিশনে সদস্যপদ নিশ্চিতের পর এবার জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার সংস্থাটির সাধারণ অধিবেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গোপন ভোটাভুটিতে ১৯১টির মধ্যে ১৮১টি দেশের ভোট পেয়ে বাংলাদেশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে  এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এই অঞ্চল থেকে নির্বাচিত অপর দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন। পরবর্তী তিন বছরের জন্য এই দেশগুলো ইকোসক-এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

noname

জাতিসংঘের মূল ছয়টি সংস্থার একটি ইকোসক। উন্নয়ন প্রশ্নে এটি বহুপাক্ষিক কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম বিবেচিত হয়। সাধারণ পরিষদের ৭৩তম প্রেসিডেন্ট মারিয়া ফার্নান্দা এপ্সিনোসা গার্সেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোপন ব্যালটের নির্বাচনে ২০২০-২০২২ মেয়াদে ইকোসকের সদস্য নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ।

জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও বহুমাত্রিক নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ ও এজেন্ডা ২০৩০ অর্জনে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে দেশটি।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ ভবনের বাইরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগে বাংলাদেশের জনগণের জন্য অনন্য উপহার এই বিজয়। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে ইকোসক-এর এই সদস্যপদ লাভ আমাদেরকে আরও সামনে এগিয়ে নেবে। এছাড়া এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নেও এই বিজয় নতুন গতি আনবে।’

ইকোসকের সদস্য পদ পাওয়ার মাধ্যমে এজেন্ডা-২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিভিন্ন ফোরাম, কমিশন, কমিটি, নির্বাহী বোর্ড এবং আঞ্চলিক ফোরামে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে। এই সদস্যপদের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অভিজ্ঞতা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভাগাভাগি করা যাবে বলেও দাবি করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ইকোসকের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করবে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ২০১৯-২০২১ মেয়াদের সদস্য নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ।