আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের

হংকং-এর কর্তৃপক্ষ বিতর্কিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিলের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিতের ঘোষণা দিলেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির বিক্ষোভকারীরা। রবিবার মিছিলের ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভকারীদের নেতারা হংকং-এর চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যামের পদত্যাগ এবং বিলের কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বাতিলের দাবি তুলেছেন।রবিবারও কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন হংকং-এর বিক্ষোভকারীরা

সাবেক ব্রিটিশ কলোনি হংকং ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ চুক্তির আওতায় ১৯৯৭ সালে চীনের শাসনের অধীনে ফিরে যায়। চুক্তিতে হংকং-এর স্বায়ত্বশাসনের সীমা নিশ্চিত করা হয়। সম্প্রতি হংকং-এর কর্তৃপক্ষ চীন ও তাইওয়ানে অপরাধী প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত একটি বিল পামের উদ্যোগ নিলে অঞ্চলটি জুড়ে গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীদের মূল ক্ষোভ চীনের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে। বেইজিংয়ের দুর্বল আইন এবং মানবাধিকার রেকর্ডের কারণে সেখানে কাউকে ফেরত পাঠানো নিরাপদ মনে করছে না হংকং-এর সাধারণ মানুষ। তারা মনে করছেন, বিলটি পাস হলে তা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপের সুযোগ বাড়বে।

উত্তাল গণবিক্ষোভের মুখে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কথিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দেন হংকং-এর চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম। তবে এই ঘোষণাকে শহরকে টুকরো টুকেরা করা ‘ছুরি’ বলে অভিহিত করেছেন গ্রুপ সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্টের এক নেতা জিমি শাম। তিনি বলেন,  এই ছুরি আমাদের প্রায় হৃদয় পর্যন্ত গেথে গেছে। এখন সরকার বলছে তারা বিলটি স্থগিত করেছে কিন্তু বিলটি প্রত্যাহার করে নিতে অস্বীকার করছে তারা। রবিবার পরিকল্পনামাফিক বিক্ষোভ মিছিল চলবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।  

২০১৮ সালের এক ঘটনার প্রেক্ষিতে বিতর্কিত বিলটি তৈরি করে হংকং-এর কর্তৃপক্ষ। তাইওয়ানে ছুটি কাটানোর সময় অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে হংকং-এর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু তাইওয়ানের সঙ্গে হংকং-এর বন্দি বিনিময়ের কোনও চুক্তি না থাকায় সেই ব্যক্তিকে এখন তাইপেতে বিচারের জন্য পাঠানো যাচ্ছে না। এখন তাইওয়ানও জানিয়েছে, সন্দেহভাজন সেই খুনের মামলার আসামিকে ফেরত নিতে চায় না তারা। কেননা এটি এমন এক উদাহরণ তৈরি করবে যা চীন ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারে।

আরও পড়ুন: উত্তাল গণবিক্ষোভে পিছু হটলেন হংকং-এর চীনপন্থী শাসক