২০৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ৯৭০ কোটি: জাতিসংঘ

২০৫০ সালের বিশ্বের জনসংখ্যা ৯৭০ কোটি হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বর্তমানে বিশ্বের ৭৭০ কোটি মানুষের বসবাস। আগামী ৩০ বছরের মধ্যে তা আরও ২০০ কোটি বেড়ে যাবে। আর সাব সাহারান আফ্রিকাতে জনসংখ্যা বাড়বে দ্বিগুণ। সোমবার প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

bb7f64d8c1ac9cb26dcd8e4f595208598f7ff95e

সোমবার জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক দফতরের জনসংখ্যা বিভাগ থেকে ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্ট ২০১৯: হাইলাইটস’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ১৯৫০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে পরিচালিত ১ হাজার ৬৯০টি জাতীয় আদমশুমারির ফল ব্যবহার করে এ নতুন প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এতে গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধন ব্যবস্থা ও ২ হাজার ৭০০ নমুনা জরিপের তথ্য ব্যবহৃত হয়েছে।প্রতিবেদনে  বলা হয়, চলতি শতকের শেষ দিকে বিশ্বের জনসংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হতে পারে। যা হবে প্রায় ১১০০ কোটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়,২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জনসংখ্যার যে বৃদ্ধি হবে তার অর্ধেকের বেশি হবে নয় দেশে- ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইথিওপিয়া, তাঞ্জানিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রে। আর বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনের জনসংখ্যঅ বৃদ্ধির হারা কমে যাবে ২.২ শতাংশ। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হিসেবে ২০২৭ সালে চীনকে ভারত ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি, প্রজননের হার হ্রাস ও জনসংখ্যা কমতে থাকা দেশের সংখ্যা বাড়তে থাকার কারণে বিশ্ব জনসংখ্যার গড় বয়স বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।  জানানো হয়, গরিব দেশগুলোর মানুষ বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় ৭ বছর কম বাঁচেন।

বৈশ্বিক প্রজনন হার, যা ১৯৯০ সালে ছিল প্রতি নারীতে ৩.২, তা ২০১৯ সালে কমে ২.৫-এ দাঁড়িয়েছে। সেটি ২০৫০ সালে কমে ২.২ হবে। জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়া রোধ এবং এক প্রজন্মকে আরেক প্রজন্ম দ্বারা প্রতিস্থাপন করতে প্রতি নারীতে প্রজনন হার থাকতে হয় ২.১।