মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ভারত

নিজেদের বাণিজ্যিক তেলবাহী ট্যাংকারের সুরক্ষায় ওমান উপসাগরে দুটি যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ভারতের নৌবাহিনী। মধ্যপ্রাচ্যের এই অঞ্চলে গত দেড় মাসে  তেলবাহি ট্যাংকারে একাধিক বিস্ফোরণের পর যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। শুক্রবার ভারতীয় নৌবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী আইএনএস চেন্নাই এবং টহল জাহাজ আইএনএস সুনয়নাকে ওমান ও পারস্য উপসাগরে মোতায়েন করা হয়েছে। অপারেশন সংকল্প নামে সামুদ্রিক নিরাপত্তার এই অভিযানে নজরদারি বিমানও পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। এসব যুদ্ধজাহাজ ঠিক কোথায় মোতায়েন করা হচ্ছে বা কখন তা ওমান উপসাগরে পৌঁছাবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি ভারত।ভারতের নৌজাহাজ আইএনএস চেন্নাই

২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে তেহরান-ওয়াশিংটন উত্তেজনার মধ্যে গত ১২ আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরে চারটি বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এছাড়া ১৩ জুন ওমান উপসাগরে দুটি তেলবাহী ট্যাংকারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এসব বিস্ফোরণের জন্য ইরানকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। তবে ইরান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার নিজেদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ার দাবি করে একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করে তেহরান। এই ঘটনার পর নতুন করে দুই দেশের উত্তেজনা বেড়েছে।

ওয়াশিংটন-তেহরান উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যে নতুন নিরাপত্তা অভিযানের ঘোষণা দেয় ভারত। এই অভিযানে পাঠানো যুদ্ধজাহাজ আইএনএস চেন্নাই ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর মুম্বাইতে ভারতীয় নৌবাহিনীতে কমিশন পায়।  সাড়ে সাত হাজার টন ওজনের আইএনএস চেন্নাই ৫৩৪ ফুট লম্বা। ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী এই যুদ্ধজাহাজটি ভারতীয় নৌবাহিনীর নতুন ও সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজগুলোর একটি। এটি ভূমি থেকে ভূমিতে এবং ভূমি থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়াসহ টর্পেডো এবং রকেট ছুঁড়তে সক্ষম। আর দুই হাজার দুইশো টনের আইএনএসও ভারতের নতুন যুদ্ধজাহাজগুলোর একটি। ২০১৩ সালে এটি নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হয়। সমুদ্রে টহল ও নজরদারির জন্য এটি ডিজাইন করা।

ভারতীয় নৌবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে ভারতের সামুদ্রিক বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনার নিরাপত্তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারতীয় নৌবাহিনী’।

মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ওই অঞ্চলে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি ঘটিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সপ্তাহে অতিরিক্ত আরও এক হাজার সেনা পাঠিয়েছে দেশটি।