ইরানি অস্ত্রব্যবস্থার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার হামলা

এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পর সে দেশের অস্ত্রব্যবস্থার ওপর সাইবার হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন পোস্টের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র ইরানি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটারের ওপর হামলা চালিয়ে তা অকার্যকর করে দিয়েছে।

noname

পরমাণু চুক্তি নিয়ে মতানৈক্যের পর  ইরানের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে উগসাগরীয় এলাকায় বিমানবাহী রণতরী ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ যুদ্ধ সরঞ্জাম মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। আরব উপসাগরে সাম্প্রতিক দুটি ট্যাংকার বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে কয়েকদিন আগেই মধ্যপ্রাচ্যে আরও ১ হাজার মার্কিন সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ‘আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক’ নামের একটি ড্রোন ভূপাতিত করে ইরান।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরব ও আমিরাতের তেলের ট্যাঙ্কারে হামলার অভিযোগকে সামনে এনে এবং মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনাকে কারণ দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরানের সেনাবাহিনীর অস্ত্র সরঞ্জামে সাইবার হামলা চালানো হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের অস্ত্রব্যবস্থায় সাইবার হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। ইরানের সেনাবাহিনী ইসলামিক রেভ্যুল্যুশনারি গার্ড কর্পোরেশন-আইআরজিসি যেসব অস্ত্র ব্যবহার করে, সেগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে।

ওয়াশিংটন পোস্ট ও এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সফল সাইবার হামলার মধ্য দিয়ে অস্ত্রব্যবস্থা অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে তারা ওই অস্ত্রব্যবস্থা অকার্যকর থাকার খবর পেয়েছে।

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে পরমাণু নিয়ন্ত্রণবিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ইরান। বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু গত বছর ইউরোপীয় মিত্রদের বাধা সত্ত্বেও ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে ইরানের ওপর তেল রফতানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে একের পর এক অবরোধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। সেখান থেকেই দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনার সূত্রপাত।