আরব বিশ্বে বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মনোভাব

আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণকারী মানুষের সংখ্যা কমেছে। বিপরীতে বাড়ছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণকারীর সংখ্যা। এছাড়া এই অঞ্চলের মানুষের বড় একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী সহিংসতাকে যৌক্তিক মনে করে। আরবি ভাষাভাষী ১১টি দেশের ২৫ হাজারের বেশি মানুষের ওপর পরিচালিত এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

noname

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র আরবি সংস্করণ ও প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক গবেষনা নেটওয়ার্ক আরব ব্যারোমিটার যৌথভাবে জরিপটি পরিচালনা করেছে। আলজেরিয়া, মিসর, ইরাক, জর্ডান, লেবানন, লিবিয়া, মরক্কো, ফিলিস্তিন, সুদান, তিউনিসিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকেরা এতে অংশ নেন। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরের ভিত্তিতে করা এই জরিপে আরবি ভাষাভাষী মানুষদের মনোভাবের বিষয়ে বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।

জরিপে দেখা গেছে, আরব বিশ্বের মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি (২৮ শতাংশ)। এই অঞ্চলের ৫১ শতাংশ মানুষ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ানের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।

জরিপে অংশ নেওয়া ১১টি দেশের মধ্যে অন্তত আটটি দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এই অঞ্চলে মার্কিন হস্তক্ষেপের যৌক্তিক পরিণতি যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী সহিংসতা। লেবানন, ফিলিস্তিন এবং ইয়েমেনে এই মনোভাব সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলের ৭৫ শতাংশ মানুষই এই মনোভাব পোষণ করে।

নিজের দেশের সরকার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জরিপের উত্তরদাতারা। আলজেরিয়া, ইরাক, জর্ডান, লিবিয়া, ফিলিস্তিন ও সুদানের উত্তরদাতারা মনে করেন তারা স্বৈরতন্ত্রের দিকে ধাবিত হচ্ছেন। আলজেরিয়ায় ১০ জনের ছয় জন, সুদানের ১০ জনের চার জন উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন, সর্বশেষ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না।

আরব ব্যারোমিটারের পরিচালক মাইকেল রবিনস বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, জরিপ পরিচালিত দেশগুলোর বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ মনে করেন সরকার নাগরিকদের প্রত্যাশা পূরণ করছে না। তিনি বলেন, ‌‘সরকারের প্রতি আস্থা বিবেচনার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিরাপত্তা প্রদানের চেয়ে অর্থনৈতিক ইস্যু আগে বিবেচনা করা হচ্ছে।’