ভুলেও শুরু হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান যুদ্ধ: যুক্তরাজ্য

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান কেউ না চাইলেও দুর্ঘটনাবশত যুদ্ধ লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, তারা কেউ হয়তো যুদ্ধ চায় না। তবে ভুল করে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট

পরমাণু চুক্তি নিয়ে মতানৈক্যের পর ইরানের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে উগসাগরীয় এলাকায় বিমানবাহী রণতরি ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ যুদ্ধ সরঞ্জাম মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। আরব উপসাগরে সাম্প্রতিক দুটি ট্যাংকার বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে কয়েকদিন আগেই মধ্যপ্রাচ্যে আরও ১ হাজার মার্কিন সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ‘আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক’ ড্রোন ভূপাতিত করে ইরান।

জেরেমি হান্ট বলেন, আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমাদের মনে হয় না কোনও পক্ষই যুদ্ধ চায়। তারপরও যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

হান্ট জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারাও গভীরভাবে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতে নজর রাখছেন। তিনি বলেন, আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিয়েছি।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে পরমাণু নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ইরান। বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু গত বছর ইউরোপীয় মিত্রদের বাধা সত্ত্বেও ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। পরে ইরানের ওপর তেল রফতানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে একের পর এক অবরোধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। সেখান থেকেই দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনার সূত্রপাত হয়।